ইসরায়েলি বর্বরতায় ‘মারাত্মক’ ঝুঁকিতে গাজার নবজাতকরা

|

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় গাজার প্রায় সবকিছু বিধ্বস্ত। তাদের বর্বরতা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতালও। একদিকে মৃত্যুর মিছিল আর অন্যদিকে জন্ম নিচ্ছে নতুন প্রাণ। দেশ-রাজনীতি-সংঘাত, কিছুই বোঝে না সদ্য ভূমিষ্ঠ এসব শিশু। তারপরও যুদ্ধের নিমর্মতার সবচেয়ে বড় শিকার এ নবজাতকরাই।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে নিজেরা অভুক্ত বা আধপেটা থেকে কোনোরকমে দিন কাটাচ্ছেন গাজার মায়েরা। সে কারণে সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত দুধ নিশ্চিত করতে পারছেন না তারা। এছাড়া, পানির অভাবে শিশুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে বাবা-মাকে।

এ বিষয়ে এক মা আহাজারি করে বলেন, বাচ্চাটাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ খাওয়াতে পারছি না। ওর শরীর হলুদ হয়ে যাচ্ছে খাবারের অভাবে। ও-তো ছোট্টো শিশু, কী দোষ ছিল তার? পানি নেই, ডায়াপার নেই, মাথার ওপর নিরাপদ একটা ছাদও নেই। কেনো এমন সময় জন্মালো ও! আল্লাহ জানে কবে এ দুর্দশা শেষ হবে।

এদিকে, যুদ্ধের কারণে জন্মের পরই বাবা-মাকে হারিয়েছে অনেক শিশু। কারও জন্ম হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই আবার কেউ হয়েছে গুরুতর আহত। যে কারণে তাদেরকে রাখতে হচ্ছে ইনকিউবেটরে। তবে, জ্বালানি আর বিদ্যুৎ সংকটে বেশিরভাগ হাসপাতালেই প্রায় অচল বিদ্যুৎ চালিত এ যন্ত্র।

এ বিষয়ে আল আকসা হাসপাতালের পরিচালক ইয়াদ আবু জাহের বলেন, অপরিণত শিশুরা এখন মারাত্মক বিপদে আছে। জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে যেকোনো সময় হাসপাতালগুলোর ইনকিউবেটর আর কাজ করবে না। আর এই শিশুগুলোকে বাঁচানোর জন্য এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্র।

শুধু শিশু নয়, ভয়ংকর ঝুঁকিতে জীবনযাপন করছেন গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও। হাসপাতালগুলোতে জায়গা না পাওয়ায় সন্তান প্রসব করতে গিয়ে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেক নারীকে। প্রাণও হারাচ্ছেন কেউ কেউ।

জাতিসংঘের তথ্যানুসারে আগামী এক মাসের মধ্যে আরও প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিশু জন্ম নেবে সংঘাতময় গাজা উপত্যকায়।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply