মাহফুজ মিশু:
নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসার গুঞ্জনে চিন্তিত নয় সরকার। এসব নিয়ে ভাবছেনই না নীতিনির্ধারকরা। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তাদের সাথে বৈঠকের পর আবারও নির্ধারিত সময়েই ভোটের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পরদিন মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিএনপির অবরোধের প্রথম দিনে কমিশনে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠক করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য খোলা মনে দলগুলোকে শর্তহীন সংলাপের পরামর্শ দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন সংলাপের আহ্বানের প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কোনো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের (বোধহয়) দেশের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া উচিত। তাদের বোধহয় রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করা উচিত। তারা একটা দল করুন আর দেখুন, জনগণের কাছে কত ভোট পায়।
২৮ অক্টোবরের কর্মসূচিতে বিএনপি সমর্থকদের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগে র্যাবের মতো পুলিশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, এমন গুঞ্জনকে পাত্তা দিতে নারাজ ডক্টর মোমেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা দিক বা না দিক, এটা আমাদের কাছে কোনো ম্যাটার করে না। আমরা আমাদের দেশ পরিচালনা করবো। এগুলো নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
মহাসমাবেশের নামে বিএনপির সহিংসতার তথ্য প্রমাণ বিদেশি দূতদের অবহিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব ঘটনায় কেবল রাজনীতি নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলেও জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করার জন্য এসব করছে। তাদের উদ্দেশ্য মহৎ নয়। কারণ, দেশটা তো আমাদের সবার। দেশের বদনাম হলে সবার ক্ষতি হবে। তারা এই ব্যাপারটা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করে না বলে মনে করেন তিনি।
/এএম
Leave a reply