ঐশ্বরিয়ার যে গানগুলো ছড়িয়েছে ঐশ্বর্য

|

আজ ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।

বলিউডে এমন অনেক গান রয়েছে, যা সিনেমার জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। গানগুলো হিট হবার পেছনে সঙ্গীতশিল্পী, কোরিওগ্রাফার, মিউজিক ডিরেক্টর এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীর প্রভাব অনস্বীকার্য। বলিউডে এমন এক অভিনেত্রী রয়েছেন, যিনি ১৯৯৪ সালে জিতেছিলেন মিস ওয়ার্লডের খেতাব। এরপর নিজের অভিনয় ও নাচের মাধ্যমে মুগ্ধ করেছেন হাজারো দর্শকদের। অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন আজ ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন। তার অবিস্মরণীয় গানগুলির একটি তালিকা নীচে দেয়া হলো;

তাল সে তাল মিলা

সুভাষ ঘাইয়ের ‘তাল’ সিনেমাটির “তাল সে তাল মিলা” গানটি ছাড়া ঐশ্বরিয়ার গানের তালিকা অনেকটা অসম্পূর্ণ। সাদামাটা মেকআপে সাদা পোশাক পরে গানটিতে নাচেন ঐশ্বরিয়া।

হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক ইন্টারভিউতে পরিচালক সুভাষ ঘাই বলেন, তাল সিনেমায় ঐশ্বরিয়াকে কম মেকআপ ব্যবহার করতে বলেছিলাম। সেজন্যই গানটিতে ঐশ্বরিয়াকে খুব সাধারণ দেখালেও, আমার চোখে তাকে ক্যামেরার সামনে অসাধারণ দেখাচ্ছিল।

‘তাল সে তাল মিলা’ গানটির একটি দৃশ্যে ঐশ্বরিয়া। ছবি: সংগৃহীত।

“তাল সে তাল মিলা” গানটি গেয়েছিলেন অলকা ইয়াগনিক ও উদিত নারায়ণ। ভিডিও প্রকাশের পর ঐশ্বরিয়াকে দেখে তারাও রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

কাজরা রে

১৮ বছর আগে, ২০০৫ সালে নির্মাণ করা হয় ‘বান্টি অর বাবলি’ সিনেমা। মুভিটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন অভিষেক বচ্চন ও রানী মুখার্জী। কিন্তু সিনেমাটিতে ক্যামিও রোলে ও আইটেম গানে নাচতে দেখা যায় ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনকে। বিশ্লেষকদের মতে ‘কাজরা রে’ গানটি তখনকার সময়ে আইকনিক আইটেম গান।

‘কাজরা রে’ গানের একটি দৃশ্যে ঐশ্বরিয়া, অভিষেক ও অমিতাভ। ছবি: সংগৃহীত।

সে সময়ে অভিষেক বচ্চন অনেকটা ঐশ্বরিয়ার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। কে জানতো, এই গানে একসঙ্গে থাকা জুটি ঠিক দু’বছরের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। ঐশ্বরিয়ার অসাধারণ নাচের ভঙ্গি ও এক্সপ্রেশন, ‘কাজরা রে’ গানটিকে আইকনিক করে তুলেছিল।

বারসো রে

ঐশ্বরিয়ার মুখে বৃষ্টির প্রথম ফোঁটার চিহ্নটি একটি চমত্কার গান রচনার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিলো মিউজিক কম্পোজার এ আর রহমানকে। ‘গুরু’ সিনেমার গানটি শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে একজন ভারতীয় গ্রামীণ মহিলার সাধারণ জীবনযাপনকে তুলে ধরা হয়েছে। ঐশ্বরিয়া তার নাচ ও অভিনয়ের মাধ্যমে গানটিকে নিয়ে যান অন্য এক উচ্চতায়।

‘গুরু’ সিনেমার ‘বারসো রে’ গানটির একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

গানটিতে দেখা যায়, ঐশ্বরিয়া নদীতে সাঁতার কাটছেন এবং একটি বিশাল পাথরে আরোহণ করেন। এরপর হঠাৎ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তার নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্ত যুক্তিসঙ্গত নাও হতে পারে, তবে সে জানে সে কী চায় এবং এটিই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ঐশ্বরিয়ার ক্যারিয়ারে একটি গানটি সত্যিই অবিস্মরণীয় ট্রিট।

সিলসিলা ইয়ে চাহাত কা

শ্রেয়া ঘোষালের গাওয়া ‘সিলসিলা ইয়ে চাহাত কা’ গানটিতে নাচতে ঐশ্বরিয়াকে একাধিক কাজ একসঙ্গে করতে হয়েছিল। নাচের সময় ঠোঁট-মেলানো এবং জটিল নাচের মুভমেন্টের সাথে তাল মিলিয়ে তাকে সবসময় একটি প্রদীপ এক হাতে ধরে ভারসাম্য রাখতে হয়েছিল। প্রদীপটি ছিল তার অবিরাম ভালোবাসার প্রতীক।

‘সিলসিলা ইয়ে চাহাত কা’ গানটির একটি দৃশ্যে ঐশ্বরিয়া প্রদীপ ধরে নাচচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত।

ঐশ্বরিয়া গানটির একটি বীটও মিস না করে এই গানে নেচেছেন। আশা ও যন্ত্রণার সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে তিনি গানটিতে নৃত্য পরিবেশন করেন।

নিম্বুরা নিম্বুরা

সরোজ খান ঐশ্বরিয়ার অনেক নৃত্য কোরিওগ্রাফ করেছেন, কিন্তু নিম্বুরা নিম্বুরার ছিল সবচেয়ে জটিল এবং উত্তেজনাপূর্ণ একটি গান। গানের প্রতিটি বীটের সাথে মিল রেখে দারুণ নেচেছিলেন ঐশ্বরিয়া। এমনকি দুই দশক পরেও, এই গানটি এখনও নতুন মনে হবে দর্শকদের।

উরি তেরি আখো সে

গায়িকা সুনিধি চৌহান এবং ঐশ্বরিয়া রায়ের কম্বো কখনো মিস হয় না! সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘গুজারিশ’ সিনেমায় ঐশ্বরিয়াকে দেখা যায় ভিন্ন এক রূপে। গানটিতে প্রথমে তিনি স্পটলাইট নিতে একটু সময় নেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার নাচের জাদু ছড়িয়ে পড়ে ভক্তদের মাঝে। গানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও তার থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়া কঠিন। কারণ গানটিতে নাচতে-নাচতে মঞ্চে যাবার পথ তৈরি করেন তিনি এবং দর্শকদের সামনে স্বপ্নের মতো নাচটি সম্পাদন করেন ঐশ্বরিয়া।

গুজারিশ’ সিনেমার ‘উরি তেরি আখো সে’ গানের একটি দৃশ্যে ঐশ্বরিয়া। ছবি: সংগৃহীত।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply