আহমেদ রেজা:
দিনের শুরু থেকে শেষ অবধি ব্যবহৃত অতীব প্রয়োজনীয় বস্তুটির নাম, মোবাইল ফোন। শিশু-তরুণদের পাশাপাশি বেশি বয়সীরাও মজে থাকছেন ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। ফলে সামাজিক-শারীরিক চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিষয়টি জানা থাকলেও ব্যবহারকারীদের নির্ভরতার মাত্রা এতোটাই বেশি যে অনেকেরই নেই পরিমিতি বোধ। উল্টো পরবর্তী প্রজন্মকেও বুঁদ করছেন মোবাইলের নেশায়।
বয়সের সীমারেখায় আড্ডা দেয়ার মানুষ কমতে থাকলেও, সঙ্গী হয়েছে হালের প্রযুক্তি মোবাইল ফোন। অনেকেই বিনোদনের পছন্দের মাধ্যমে হিসেবে বেছে নিয়েছেন সেল ফোনকে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে দেশে ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সীদের মধ্যে ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশ মানুষের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন রয়েছে।
ঘরে-বাইরে সব জায়গায় মোবাইল ফোনের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে সকলের। বিশেষ করে মধ্য বয়স্ক ও বৃদ্ধরাও এখন ঝুঁকেছেন মোবাইল ফোনে। অনেকের যোগাযোগ নির্ভরতার অন্যতম মাধ্যম হালের এই প্রযুক্তি।
মোবাইলের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় কমছে সামাজিকতা। বাড়ছে ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তা। একইসাথে বাড়ছে শারীরিক ও মানসিক চাপ। ঘুমের অভাব, হতাশা আর খিটখিটে স্বভাবও হচ্ছে সঙ্গী। বিষয়টি উদ্বেগের মনে হলেও নির্ভরতা কমানো কঠিন বলে জানান ব্যবহারকারীরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে। বিশ্বে বর্তমান মোবাইল ব্যবহারকারীদের ৮০ শতাংশই এতে আসক্ত। শিশু-কিশোরদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।
এটিএম/
Leave a reply