বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হয়েও ‘বিষণ্ন’ কোহলি

|

৬ ফিফটি, ৩ সেঞ্চুরিসহ ১১ ম্যাচে ৭৬৫ রান! বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ভেঙেছেন ২০০৩ বিশ্বকাপে শচীন টেন্ডুলকারের গড়া ৬৭৩ রানের কীর্তি।

আরও একটি রেকর্ডে চোখ বুলানো যাক। বিশ্বকাপের এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ফিফটি বা ফিফটি পেরোনো ইনিংসের (৯টি) রেকর্ড। এই বিশ্বকাপে ‘রানারআপ’ ভারত খেলেছে ১১ ম্যাচ, তার মধ্যে ৯ ইনিংসেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেছেন ‘কিং’ কোহলি। এর মধ্যে শেষটিতে সেই শচীনকেই পেছনে ফেলে গড়েছেন ৫০তম শতকের রেকর্ড। কিন্তু এতো কিছু করেও যদি বিশ্বকাপটা হাতে এসে ধরা না দেয়, তবে বিষণ্ণ না হয়ে উপায় কি? বিশ্বকাপ জিততে এর চেয়ে আর কী করা প্রয়োজন?

কোহলি হয়তো ভাবছেন এটাই। কেন ভাববেন না? ভারতীয় এই কিংবদন্তি বলতে পারেন, শুধু এসব রেকর্ড কেন, বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হয়েও তো বিশ্বকাপ জেতা যায় না! এই বিশ্বকাপই তার প্রমাণ। ২০০৩’এ কিছুটা প্রমাণ পেয়েছিলেন ‘মাস্টার’ ব্যাটার শচীনও।

ফাইনালের পর বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনির কাছ থেকে যখন ‘টুর্নামেন্টসেরা’র পুরস্কার নিচ্ছিলেন, তখন কোহলির মুখে ভর করেছিল বিষাদরেখা অথবা অমানিশা। ট্রফিটা নিয়ে কোনো কথা না বলে মাথা নিচু করে মঞ্চ ছেড়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতেও দেখা গেছে, পুরস্কার হাতে ছবি তোলার সময়ও কোহলির মুখে নেমে এসেছিল দুঃখের ছায়া অথবা বিষণ্নতা।

কোহলি পঁয়ত্রিশে পা দিয়েছেন। পরের বিশ্বকাপ আসতে আসতে প্রায় চল্লিশ। তখন সেই বিশ্বকাপে তাকে না দেখার সম্ভাবনাই বেশি। আবার দেখাও যেতে পারে। ২০১১ বিশ্বকাপ দূর করে দিয়েছিল শচীনের দুঃখ। কোহলির দুঃখ কি দূর হবে? সময়ের হাতেই তোলা থাকলো এই প্রশ্ন।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply