আজকাল আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে প্রায়শই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় পড়তে হয়। এর মধ্যে একটি হলো শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা। কম বয়সীদের মধ্যেও এই সমস্যা বেশ প্রকট। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত-পা নাড়াতে গিয়ে বেগ পেতে হয় অনেকের। আর এর জন্য দায়ী আমাদের খাদ্যাভ্যাস।
মূলত, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। খাবার হজমের পর শরীরে এই অ্যাসিড তৈরি হয়। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খেলে বা ওজন বেড়ে গেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীরের অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে জমা হতে শুরু করে। জমতে থাকা ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টালের আকার নেয়। এটি গাঁটে ব্যথা ও প্রস্রাবের সংক্রমণ ডেকে আনে।
এছাড়া, শরীরে এই অ্যাসিড বেশি মাত্রায় জমতে শুরু করলে কিডনিতে পাথরও জমতে পারে। লিভারেও সমস্যা দেখা যায়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি, এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিও খেতে হবে। তবে সবার আগে রাশ টানতে হবে খাদ্যাভ্যাসে।
এখন দেখা যাক, কীভাবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন…
১) স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। ইউরিক অ্যাসিডে সুস্থ থাকতে রেড মিট, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভালো।
২) মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩) চিনিযুক্ত কোনো কোমল পানীয়ও খাওয়া যাবে না। এই সব পানীয়ে ফ্রুকটোজ থাকে। এই ফ্রুকটোজ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যেকোনো কোমল পানীয়, হেল্থ ড্রিঙ্ক থেকে দূরে থাকাই ভালো। খুব বেশি মিষ্টি কোনো ফল, টিনবন্দি ফল এমনকি ড্রাইফ্রুট্সেও ভাল মাত্রায় ফ্রুকটোজ থাকে। তাই এগুলিও এড়িয়ে চলতে হবে।
৪) ইস্টে থাকে পিউরিন যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ইস্ট রয়েছে এমন খাবার যেমন পাউরুটি কিংবা বেক্ড জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকাই ভালো।
৫) প্যাকেটবন্দি কোনো খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ থাকে, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সব খাবার এড়িয়ে চলুন।
এসজেড/
Leave a reply