পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত পা বেঁধে নির্যাতন ও মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাসের শ্যালক মিলন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম রবি ঈশ্বরদী সাঁড়া গোপালপুর ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি। নির্যাতনের পর ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে রবিউলকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ পুলিশেও সোপর্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগী রবিউলের স্ত্রী রোজিনা জানান, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দিনগত সাড়ে ১২ টার দিকে সাঁড়া গোপালপুর নিজ বাড়ি থেকে রবিউলকে, মিলন চৌধুরীর ছোট ভাই দীপ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল যুবক ডেকে নিয়ে যায়। রাত দেড়টার দিকে তিনি প্রতিবেশীদের কাছে খবর পান মিলন চৌধুরী ও তার লোকজন রবিউলকে হাত পা বেঁধে পিটিয়ে পার্শ্ববর্তী রেল লাইনে ফেলে রেখেছে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তাকে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, রবিউলকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় রবিউলের হাত পা বেঁধে রেল লাইনে ফেলে নির্যাতন করা হচ্ছে। তবে, আগ্নেয়াস্ত্রসহ রবিউলকে পুলিশে দেয়ার ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র দাবি রবিউলের রাজনৈতিক সহকর্মীদের।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, একজন ত্যাগী আওয়ামী যুবলীগ নেতাকে কখনও কোন আওয়ামী লীগ নেতা বা কর্মী এভাবে নির্যাতন করতে পারে না। যারা নির্যাতন করেছে তারা আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকে বিএনপি জামায়াতের মিশন বাস্তবায়ন করছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতি রাতেই তার পেটুয়া বাহিনী দিয়ে আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে রবিউল ইসলাম রবিকে বাড়ি থেকে তুলে এনে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত পা বেঁধে নির্যাতন ও মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাসের শ্যালক মিলন চৌধুরী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিলন চৌধুরী বলেন, রবিউল কে মারধর করা হয়নি। তার কাছে অবৈধ অস্ত্র পাওয়া গেছে। এই কারনে হয়তো জনগণ তাকে মারধর করতে পারে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, সোপর্দকারীদের বর্ণনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি রহস্যজনক।
/এমএইচ
Leave a reply