শান্ত’র সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে বাংলাদেশ

|

ছবি: সংগৃহীত

সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে নাজমুল হসেন শান্ত’র দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে রয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডকে ৩১৭ রানে অলআউট করার পর ২ উইকেটে ১১১ রান তুলে টি ব্রেকে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশনের শুরুতেই মোমিনুল হকের উইকেট হারিয়ে হোঁচট খায় টাইগারার। তবে দলকে খুব একটা বিপদে পড়তে দেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। দু’জনের অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটিতে ২০৫ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে ১৯ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে লাঞ্চ থেকে ফিরে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এজাজ প্যাটেলের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে পড়ে শার্প টার্ন করা ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান। বাঁহাতি এই ওপেনার করেন ১৭ রান। এজাজের বলে প্রথম ইনিংসেও একই ডেলিভারিতে আউট হয়েছিলেন জাকির। সেবার অবশ্য বোল্ড হয়েছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। পরের ওভারে আউট হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার আমহমুদুল হাসান জয়ও।

টিম সাউদির ফুলার লেন্থ ডেলিভারি স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যা সাউদির হাত স্পর্শ করে বল আঘাত হাতে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে। সেই সময়ে পপিং ক্রিজের বাইরে ছিলেন জয়। ফলে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান করা জয় এবার আউট হন ৮ রানে।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে চাপ সামাল দেন দেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মোমিনুল হক। যদিও মুমিনুলের বিপক্ষে শুরুতে একবার রিভিউ নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। আগের ইনিংসে ৩৭ রান করা শান্ত ফিফটি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থেকে চা বিরতিতে গেছেন। মুমিনুল অপরাজিত আছেন ৩৮ রান করে। দ্বিতীয় সেশন শেষে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১১ রান।

চা বিরতি থেকে ফিরেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এজাজ প্যাটেলের বলে এক রান নিয়ে ৯৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। একই পথে হাঁটছিলেন মোমিনুলও। তবে রান আউটে কাটা পড়ে শেষ পর্যন্ত হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার। এজাজ প্যাটেলের টসড আপ ডেলিভারিতে উইকেটে ছেড়ে বেরিয়ে এসে ফ্লিক করেছিলেন মোমিনুল। ফ্লিক করেই রান নেয়ার জন্য দৌড় দেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটার অনেকটা এগিয়ে আসলেও তাতে সাড়া দেননি শান্ত। মূলত বল সরাসরি চলে যায় হেনরি নিকোলসের হাতে। এমনটা দেখেই রান নেয়ায় আগ্রহ দেখাননি শান্ত। তবে অনেকটা চলে আসায় ফিরে গিয়ে নিজেকে বাঁচাতে পারেননি মুমিনুল। ফলে হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ৪০ রানে ফিরে যেতে হয় তাকে।

এরপর ৪র্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গী করে লড়াই চালিয়ে যান শান্ত। সাবলীল ব্যাটিংয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক তুলে নেন শান্ত। সেই সাথে প্রথম বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়লেন শান্ত। অন্যদিকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। শান্ত ১০৪ ও মুশফিক ৭১ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত আছেন। 

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply