খাগড়াছড়ি থেকে পেঁয়াজ উধাও!

|

খাগড়াছড়ির বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে পেঁয়াজ। দোকান থেকে আড়ত কোথাও মিলছে না মূল্যবান এই ভোগ্যপণ্য। ক্রেতারা ফিরছেন খালি হাতে। খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তাদের অভিযোগ মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। তবে, আড়তদারদের দাবি ভিন্ন।

সরেজমিনে দেখা যায়, খুচরা দোকান কিংবা আড়ত সবখানেই একই চিত্র। কোথাও মিলছে না পেঁয়াজ। এদিক ওদিক ঘুরে খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা। তবে সংকটের জন্য আড়তদারদের দুষছেন খুচরা বিক্রেতারা। দাম আরও বাড়াতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, এক কেজি পেয়াজের জায়গায় এক পোয়া পেঁয়াজ কিনলাম। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ লুকিয়ে রাখছে। একদিনেই যদি ৫০ টাকার বেশি বেড়ে যায় তাহলে তো আর পেঁয়াজ খাওয়াই হবে না।

খুচড়া বিক্রেতাদেরও একই সুর। বলছেন, আড়তদাররা আমাদের দাম বাড়িয়ে বলায় আমরা কিনতে পারছি না। এছাড়া তারা ভাউচার ছাড়াই পেঁয়াজ বিক্রি করতে চাচ্ছে। এজন্য আমাদের কাছে সংকট। তাদের কাছে পেঁয়াজ আছে। কিন্তু তাদের কাছে কিনতে গেলে বলছে পেঁয়াজ নিলেও ক্যাশমেমো দেবেনা।

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খাগড়াছড়ির আড়তদাররা। বলেন, আমরা যেখান থেকে পেঁয়াজ আনি সেখানেই সংকট। যার দুই কেজি দরকার সে ১০-২০ কেজি করে নিয়ে বাজার থেকে পেঁয়াজ উধাও করে ফেলেছে।

খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লিয়াকত সওদাগর বলেন, আমরা বলে দিয়েছি পেঁয়াজ যাদের যেভাবে কেনা আছে সেভাবেই বিক্রি শুর করতে। আমাদের সাধারণ ভোক্তারা যেন কষ্ট না পায়।

এ বিষয়ে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলোর।

জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান বলেন, কারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করছে। তাদের সার্বিক কর্মকান্ড স্বাভাবিক রেখেই আমরা আমাদের অভিযান পরিচালনা করছি।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply