যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বোয়িং কেনার ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক। এমন ইঙ্গিত দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাণিজ্যিক প্রয়োজন ও অর্থনৈতিক দিক খতিয়ে দেখেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে টানাপোড়েনের সাথে এয়ারক্রাফট কেনা-বেচার সরাসরি সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তৎপর। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সবশেষ বড় দলগুলোকে চিঠি দিয়ে সংলাপ করার তাগিদও দিয়েছিল ওয়াশিংটন। যদিও তাতে সাড়া দেননি ক্ষমতাসীনরা।
এরইমধ্যে সম্প্রতি মার্কিন সংস্থা বোয়িং’র প্রতিনিধি নিয়ে নতুন মডেলের এয়ারক্রাফট কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এর আগে অবশ্য দেশটির কাছ থেকে ড্রিমলাইনার কিনেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, সর্বাধুনিক এই মডেলের এয়ারক্রাফট নিরাপদ ও বিলাসবহুল। তবে দামি এই উড়োজাহাজ বাংলাদেশ কিনবে কিনা তা যাচাই বাছাই করছে সরকার।
ঢাকা থেকে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ৯০ শতাংশই বিদেশি এয়ারলাইনসের উল্লেখ করে বিমানের সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলছেন নীতিনির্ধারকরা। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি বাণিজ্যিক এয়ারক্রাফট। এখনও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর হাতে ৯০ ভাগ মার্কেট। সেই সক্ষমতাকে প্রতিস্থাপন করতে অনেক বিমান সংস্থাগুলোকে অনেক এয়ারক্রাফট নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র্রের চাপে পড়ে নতুন করে বোয়িং কেনার ভাবনা কিনা, এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। আবার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জটিলতা কাটাতেই ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো কিনা, সে গুঞ্জনও আছে। তবে সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত বাণিজ্যিক চাহিদা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে নেয়া হয়। তবে এর সাথে রাজনৈতিক প্রভাব নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের কাছে সামরিক সরঞ্জাম, বিশেষ করে অস্ত্র বিক্রি করতে যায় যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণেই এমন আগ্রহ বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
এসজেড/
Leave a reply