দর্শক এবার আপনাদের জানাবো অস্ট্রেলিয়ার ছোট্ট এক শিশুর আকাশ জয়ের গল্প। ১০ বছর বয়সে বিমান চালিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এমি স্পাইসার। ঝোঁক আর বিপুল আগ্রহ থেকেই তার ককপিটে বসা। ৯ বছর বয়সেই বিমান চালাতে শিখে স্পাইসার। ধারণা করা হচ্ছে সেই এখন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী পাইলট।
ককপিটে চালকের আসনে ১০ বছরের এমি স্পাইসার। সময় পেলেই উড়ে চলে মুক্তবিহঙ্গের মতো। পাখির চোখে দেখে নিজের পরিচিত শহরকে। ছোটবেলা থেকেই আকাশে উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন তার। সেই শখ পূরণ করতে পিছপা হয়নি পরিবারও। তাই ১০ বছর বয়সেই এমি রপ্ত করেছে কয়েক ধরনের এয়ারক্রাফট চালানোর কৌশল। এবার নজরে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার একটি ইলেক্ট্রিক বিমান চালিয়ে।
দেড় বছর বয়স থেকেই তার ভীষণ ঝোঁক ছিলো বিমানের প্রতি। বিমান চালানোর বায়না ধরতো তখন থেকেই। শুনুন এমি স্পাইসারের জবানিতে— বাবা-মার কাছে শুনেছি, মাত্র দেড় বছর বয়সে নাকি আমি প্লেন চালানোর জন্য বায়না করতাম। পরে ৭ বছর বয়সে প্রথম প্লেনে উঠি আমি। পরের বছর গ্লাইডারে চড়ি। আর ঐ বছরই প্লেন চালানোর প্রশিক্ষণ শুরু হয় আমার।
বিমান চালনার প্রতি এই ঝোঁকের কারণে স্কুলে শিকার হতে হয়েছে বুলিংয়েরও। ক্ষুদে পাইলটকে শিকার করতে হয়েছে সহপাঠীদের নানা ধরনের কটূক্তির। তবে এসবকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি এমি। লক্ষ্য ঠিক রেখে এগিয়ে গেছে গন্তব্যের দিকে। অবশেষে খুব অল্প বয়সেই পূরণ হয়েছে সে স্বপ্ন। প্রথমবার বিমান চালানোর স্মৃতি মনে করে এখনও রোমাঞ্চিত হয় সে।
এমি বলছে, প্রথমবার বিমান চালানোর অনুভূতি মনে পড়লে এখনও রোমাঞ্চিত হই। ভয় পাচ্ছিলাম কিন্তু আত্মবিশ্বাস ছিলো, আমি পারবো। যখন বিমানের ‘ইয়ক’ অর্থাৎ স্টিয়ারিং হুইল ধরলাম মনে হচ্ছিলো আমি পুরোদস্তুর একজন পাইলট। স্বপ্নের মতো ছিলো ঐ মুহূর্তটি।
চলতি বছর ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘উইমেন ইন অ্যাভিয়েশন’ সামিটেও অংশ নিয়েছে ক্ষুদে এই পাইলট। ধারণা করা হচ্ছে, সবচেয়ে কম বয়সে ইলেক্ট্রিক বিমান চালিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে এই শিশু।
/এএম
Leave a reply