দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সাথে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগির বিষয় এখনও পুরোপুরি ‘চূড়ান্ত’ হয়নি। যদিও আওয়ামী লীগ বলছে, সাতটির বেশি আসনে ছাড় দেয়া যাবে না। বিপরীতে শরিকরা এতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে আরও দর কষাকষির ইঙ্গিত দেন।
তার মধ্যেই আজ শুক্রবার ((১৫ ডিসেম্বর) রাতে সংসদ ভবনে বৈঠক করেছে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। চব্বিশের ভোটের তফসিল ঘোষণার পর দুই দলের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো বৈঠক এটি। আজকের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা কাল শনিবার জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদ, বাহাউদ্দিন নাছিম ও মির্জা আজম। আর জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক চুন্নু। দুই দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি বৈঠকে স্থান পায় জানা গেছে।
এর আগে, সকালে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৪ দলের শরিকদের ৭টির বেশি আসন ছাড় দেয়া সম্ভব নয়। শরিক দলের কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দেয়া হবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনপ্রিয়তার মাধ্যমে বিজয় অর্জন করতে হবে।
অন্যদিকে, আসন বণ্টন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের এ মন্তব্য সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত উল্লেখ করে দুপুরে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা চাই আমাদের আরও বেশি আসন ছেড়ে দেবে আওয়ামী লীগ। আমরা চাই ছেড়ে দেয়া আসনগুলোতে নৌকা প্রতীকে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরিয়ে নিয়ে কাজ করবে দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত যদি আসন ছাড় না দেয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থাকে, তাহলে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
/এসজেড/এমএন
Leave a reply