বৃষ্টিবিঘ্নিত নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছে কিউইরা। ফলে জয়ের জন্য নির্ধারিত ৩০ ওভারে বৃষ্টি আইন বা ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে বাংলাদেশের দরকার ২৪৫ রান।
ম্যাচে টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করে কিউই ব্যাটার উইল ইয়াং খেলেছেন ১০৫ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। আরেক ব্যাটার টম ল্যাথাম মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় ম্যাচ শুরুর কথা ছিল। টস জিতে এদিন স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।
তবে টস হলেও বৃষ্টির ফলে বল মাঠে গড়িয়েছে এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর। নির্ধারিত ৫০ ওভার কমিয়ে আনা হয় ৪৬ ওভারে।
তবে মাঠে নেমে ১৩ দশমিক ৫ ওভার খেলা শেষে আবারও বৃষ্টি বাঁধায় মাঠ ছাড়ে দু’দল। তখন নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৬৩ রান।
বৃষ্টি কমলে আবারও ৬ ওভার কমিয়ে ৪০ ওভারে নির্ধারিত হয় ম্যাচ। তবে ১৯ দশমিক ২ ওভার পরে তৃতীয় দফায় আঘাত হানে বৃষ্টি। ফলে আবারও মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ।
তৃতীয় বারের মতো বৃষ্টি বাধা শেষে আবারও মাঠে নামে দু’দল। ৪০ ওভার থেকে ম্যাচ নির্ধারণ করা হয়ে ৩০ ওভারে। একজন বোলার সর্বোচ্চ বল করার সীমা নির্ধারিত হয় ছয় ওভার। প্রথম পাওয়ারপ্লেও নেমে আসে ছয় ওভারে।
এদিন প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল। এক বলের ব্যবধানে তুলে নেন স্বাগতিকদের দুই উইকেট।
ইনিংসের চতুর্থ বলে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। শরিফুলের বলে শূন্য রানে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন রাচিন রবীন্দ্র। ওভারের শেষ বলে হেনরি নিকোলসকেও শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান এই টাইগার পেসার।
তবে দারুণ এক জুটি গড়েন টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং। ল্যাথাম ৯২ রানে মিরাজের শিকার হলেও একপ্রান্ত আগলে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন উইল ইয়াং। তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করা চাম্পম্যান করেছেন ২০ রান। বাকি তিন ব্যাটার ক্লার্কসন, টম ব্লান্ডেল ও মিলনে করেছেন ১ রান করে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদি মিরাজ। বাকি চারটি উইকেটই এসেছে রান আউটের মাধ্যমে।
/এমএইচ
Leave a reply