বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হার

|

বৃষ্টিবিঘ্নিত নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ২৪৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ২০০ রানে থেমে গেছে টাইগাররা। ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৪৪ রানে জিতে ১-০ তে এগিয়ে রইলো স্বাগতিকরা।

এদিন নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা বৃষ্টির ফলে নেমে আসে ৩০ ওভারে। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ২৪৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে কোনো রান না করে শুরুতেই আউট হয়ে যান দীর্ঘদিন পরে দলে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার। তবে আরেক ওপেনার এনামুল বিজয় করেছেন দলীর সর্বোচ্চ ৪৩ রান।

সৌম্যর বিদায়ের পর দেখেশুনে খেলার চেষ্টায় ছিলেন শান্ত ও এনামুল। তবে সপ্তম ওভারে অধিনায়ক শান্তর বিদায়ে আবারও হোঁচট খায় টাইগাররা। ইশ সোধির বলে ১৩ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন শান্ত।

শান্তর বিদায়ের পর মাঠে নামেন লিটন দাস। তবে ১২তম ওভারে খেই হারান এনামুল বিজয়। ক্লার্কসনের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে মাঠ ছাড়েন এনামুল। তার দুই ওভার পরেই আউট হয়ে যান লিটন দাস। ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২২ রান করেন তিনি।

দলের হাল ধরতে পারেননি আরেক অভিজ্ঞ মুশফিকও। ১৭তম ওভারে মাত্র ৪ রানেই আউট হয়ে যান তিনি।

আফিফ হোসেনের সাথে তাল মিলিয়ে দারুণ খেলছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তবে ২৩তম ওভারে খেই হারান হৃদয়। ২৭ বলে ৩৩ রানে ইস সোধির শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে।

এরপরের ওভারে আউট হন আফিফ। ২৮ বলে ফেরেন ৩৮ রান করে। হৃদয়ের আউটের পরে ক্রিজে আসা মেহেদি মিরাজের সঙ্গী হন পেসার শরিফুল। তবে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি এই পেসার। মিলনের বলে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। এরপরে ব্যাটিংয়ে নামে হাসান মাহমুদ।

একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করছিলেন মেহেদি মিরাজ। তবে ততক্ষনে হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে নিউজিল্যান্ডের বেঁধে দেয়া লক্ষ্য। ৪ রানে হাসান মাহমুদ আউট হয়ে গেলে নির্ধারিত ৩০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২০০ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ। মিরাজ অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ২৮ রান করে।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সোধি, ক্লার্কসন ও অ্যাডাম মিলনে। একটি করে উইকেট পেয়েছেন  জ্যাকব ডাফি, উইলিয়াম ও’রুর্ক ও রাচিন রবীন্দ্র।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। ফলে জয়ের জন্য নির্ধারিত ৩০ ওভারে বৃষ্টি আইন বা ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ২৪৫ রান।

ম্যাচে টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করে কিউই ব্যাটার উইল ইয়াং খেলেন ১০৫ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। আরেক ব্যাটার টম ল্যাথাম মাত্র ৮ রানের জন্য ছুঁতে পারেননি তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নির্ধারিত সময়ে টস হলেও বৃষ্টির ফলে বল মাঠে গড়িয়েছে এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর। নির্ধারিত ৫০ ওভার কমিয়ে আনা হয় ৪৬ ওভারে।

তবে মাঠে নেমে ১৩ দশমিক ৫ ওভার খেলা শেষে আবারও বৃষ্টি বাঁধায় মাঠ ছাড়ে দু’দল। তখন নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৬৩ রান।

বৃষ্টি কমলে আবারও ৬ ওভার কমিয়ে ৪০ ওভারে নির্ধারিত হয় ম্যাচ। তবে ১৯ দশমিক ২ ওভার পরে তৃতীয় দফায় আঘাত হানে বৃষ্টি। ফলে আবারও মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ।

তৃতীয় বারের মতো বৃষ্টি বাধা শেষে আবারও মাঠে নামে দু’দল। ৪০ ওভার থেকে ম্যাচ নির্ধারণ করা হয়ে ৩০ ওভারে। একজন বোলার সর্বোচ্চ বল করার সীমা নির্ধারিত হয় ছয় ওভার। প্রথম পাওয়ারপ্লেও নেমে আসে ছয় ওভারে।

এদিন প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল। এক বলের ব্যবধানে তুলে নেন স্বাগতিকদের দুই উইকেট।

ইনিংসের চতুর্থ বলে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। শরিফুলের বলে শূন্য রানে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন রাচিন রবীন্দ্র। ওভারের শেষ বলে হেনরি নিকোলসকেও শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান এই টাইগার পেসার।

তবে দারুণ এক জুটি গড়েন টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং। ল্যাথাম ৯২ রানে মিরাজের শিকার হলেও একপ্রান্ত আগলে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন উইল ইয়াং। তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করা চাম্পম্যান করেছেন ২০ রান। বাকি তিন ব্যাটার ক্লার্কসন, টম ব্লান্ডেল ও মিলনে করেছেন ১ রান করে।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদি মিরাজ। বাকি চারটি উইকেটই এসেছে রান আউটের মাধ্যমে।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply