শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় কমল বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ করা হয়েছে। পেশায় তিনি নড়িয়া উন্নয়ন সমিতির (নুসা) বিঝারি শাখা ব্যবস্থাপক। এসময় তার কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কমল বিশ্বাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী এলাকার কার্তিক বিশ্বাসের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বিঝারি এলাকার নুরুল ইসলাম ঢালীর বাড়িতে শাখা অফিস ভাড়া নেয় নুসা কর্তৃপক্ষ। সেই অফিসের একটি রুমে রাতে মাঝে মধ্যে থাকতেন কমল বিশ্বাস। সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টার মধ্যে কোনো এক সময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে কমল বিশ্বাসের মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ সময় একটি চিরকুটও জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। চিরকুটটিতে লেখা, আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী মনজিলা, মাইনুদ্দিন ও ইতি দাস। মনজিলা আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে তা স্বীকার করছে না। এর সাক্ষী মোক্তার হোসেন। তিনিও ৮০ হাজার টাকা চেয়েছিল। তাকে না দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা শুরু করে, যা মিথ্যা ও বানোয়াট। সে ঝগড়াটে, মিথ্যুক, প্রতারক, অত্যাচারী, আমার মৃত্যুর জন্য সেই মূল দায়ী। মাইনুদ্দিন আমার কাছ থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৫০ টাকা নিয়ে স্বীকার করে না। সে ফাঁকিবাজ, অলস, শয়তান। সে আমার টাকাগুলো মেরে খাওয়ার জন্য মনজিলার সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ইতি দাস আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে স্বীকার করেছে। আমার মোট বেতন ও গাছ বিক্রির টাকা ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৫০ টাকা পাওনা। আমার মৃত্যুর জন্য কাউকে খাওয়া-দাওয়া করানোর দরকার নাই।
এ বিষয়ে নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব জানান, সুইসাইড নোটে এনজিওটির টাকা পয়সার বিষয় উল্লেখ ছিল। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এসজেড/
Leave a reply