মিরপুরের ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ বেস্ট বাই থেকে আরএফএল’র একটি মগ কিনেছিলেন। মগটির গায়ে লেখা ধারণক্ষমতা দেড় লিটার। কিন্তু শাকিল আহমেদের অভিযোগ, এতে দেড় লিটার পানি ধরছে না। তিনি মনে করেন, প্রাণ আরএফএল ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছে। তাই কাওরানবাজারের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এসে মামলা করেছেন।
যমুনা টেলিভিশনকে শাকিল আহমেদ বলেন, “বাজার থেকে দেড় লিটারের ধারণক্ষমতার একটি মগ ক্রয় করি। কিন্তু দেখা গেছে, সেটিতে দেড় লিটার পানি ধরছে না। প্রায় ২০০ থেকে দেড়শ এমএল পানি কম ধরছে। অভিযোগ করলাম। তারা অভিযোগ নিলেন। পরে জানানো হবে বলেছেন।”
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ সচিব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এক-দুইটি শুনানির মাধ্যমে এগুলা সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, শুনানির সময় উভয় পক্ষই উপস্থিত থাকেন। নামিদামী প্রতিষ্ঠান এমনকি সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধেও যখন আদেশ হয়ে যায়, তারা এখানে এসে জরিমানের টাকা পরিশোধ করে যান।
প্রাণ আরএফএলের বিরুদ্ধে নিয়মিত নানা অভিযোগ আসে। তার মধ্যে জুস, পানীয় আর বিভিন্ন ধরনের খাবারের ক্ষেত্রেই অভিযোগ আসে বেশি।
অধিদপ্তরের নথি থেকে দেখা গেছে, প্রাণ আরএফএলের মিঠাইয়ের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ। গত বাণিজ্য মেলার সময়ও প্রাণ আরএফএলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগের বিচার করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
Leave a reply