দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই দু’জনের মধ্যে বাহাউদ্দিন বাহার কুমিল্লা-৬ এবং ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বরগুনা-১ আসনে থেকে নির্বাচন করছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) মো. আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি চিঠি দুই প্রার্থীকে পাঠানো হয়। তাদের প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, এর ব্যাখ্যা দিতে আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় বাহার এবং ৪টায় শম্ভুকে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
বাহাউদ্দিন বাহারকে দেয়া ইসির চিঠিতে বলা হয়, তিনি গত ২০ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে গাড়িতে উঠার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে ‘আমার কোনো টিভি সাংবাদিক লাগবে না, আমার কোনো প্রোগ্রাম প্রচার করা লাগবে না বলে মন্তব্য করেন। আর একটি বেসরকারি টেলভিশন চ্যানেলের সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। তার উসকানি ও উত্তেজনাপূর্ণ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে তার ব্যাক্তিগত সহকারী ওই সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানকে মারধর করেন এবং মোবাইল ও লাইভ কাভারেজের যন্ত্র ছিনিয়ে নেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। পরবর্তীতে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপার তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।
তাতে উল্লেখ করা হয়, এছাড়া ‘বিরোধী দলের কোনো কর্মীকে পাওয়া গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেয়ার জন্য কর্মী-সমর্থকদের গত ১৮ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন বাহাউদ্দিন বাহার। যা রাজনৈতিক দল ও আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘন। এর ফলে আপনাকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা গ্রহণপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থাগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, বরগুনা-১ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে গত ২৮ নভেম্বর, ৭ ডিসেম্বর ও ৯ ডিসেম্বর আপনি সহস্রাধিক সমর্থকদের নিয়ে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে জনসভা, মোটর শোভাযাত্রা, পথসভা ও মিছিল করেন। যা রাজনৈতিক দল ও আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘন। এছাড়াও আপনাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করার পরেও ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম সংঘঠিত করে যাচ্ছেন। এর ফলে আপনাকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা গ্রহণপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থাগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
/আরএইচ/এমএন
Leave a reply