২০০৯ সালে যখন লাস ভেগাসে বড়ো হওয়া ক্যাথরিন মেয়রগার সঙ্গে একটি পাবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো অন্তরঙ্গতার ছবি ভাইরাল হয়েছিল, তখন সবাই ভেবেছিলেন, খেলুড়ে বুঝি জড়িয়ে পড়েছেন নতুন কোনো সম্পর্কে! কিন্তু কিছু দিন পরেই যখন রোনালদোর বিরুদ্ধে ক্যাথরিনকে ধর্ষণের অভিযোগ এল, তখন খবরের শিরোনাম গেল বদলে! স্বাভাবিক ভাবেই সেই সময়টায় বিবৃতি দিয়েছিলেন রোনাল্ডো- তাঁর নাম ব্যবহার করে মেয়রগা পরিবার আর্থিক সুবিধা করে নিতে চাইছে, চাইছে বিখ্যাত হতে!
সেই ঘটনা এত বছর পরে ফের এল প্রকাশ্যে! এক সংবাদমাধ্যম যখন ক্যাথরিন আর রোনালদোর ধর্ষণের পরবর্তী পারস্পরিক বোঝাপড়ার আইনি কাগজ প্রকাশ করে দিল, সেই উপলক্ষ্যে! সেই কাগজ বলছে, ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ডলার, যা কি না খেলুড়ের এক সপ্তাহের উপার্জন, তা দিয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছিল! পাশাপাশি ওই কাগজে স্বীকার করে নিয়েছিলেন রোনাল্ডো- তিনি সত্যিই ধর্ষণের জন্য দায়ী!
সেই কাগজে বিবৃতি দিয়েছিলেন রোনালদো- পাব থেকে তিনি ক্যাথরিনকে নিয়ে যান এক খামারবাড়িতে। “সেখানে আমি যখন পোশাক বদলাচ্ছি, তখন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ঘরে ঢুকে পড়েন রোনালদো। আমাকে প্রস্তাব দেন তিনি। আমি তাকে চুমু খাই, কিন্তু তার প্রস্তাবে সাড়া দেইনি! এর পরেই উনি জোর করে আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেন। আমি বার বার না করা সত্ত্বেও তিনি আমার কথায় কান দেননি”, জানিয়েছেন ক্যাথরিন!
অন্যদিকে, ওই আইনি কবুলনামায় রোনালদোও স্বীকার করেছেন ঘটনার কথা! “আমি তাকে বিদ্ধ করেছিলাম পিছন থেকে! কাজটা নির্মম হয়েছিল! উনি থামতেও বলেছিলেন, কিন্তু আমি থামার জায়গায় ছিলাম না! ওই অবস্থাতেই আমরা ৫-৭ মিনিট সময় কাটাই।” চিকিৎসকরাও পরীক্ষা করে জানিয়েছেন- ঘটনাটি সত্যি, ক্যাথরিনের দাবিতে কোনো ভুল নেই!
প্রশ্ন উঠবেই স্বাভাবিকভাবে- টাকা নিয়ে চুপ করে গেলেও এবং কাগজে এ ঘটনা নিয়ে আর মুখ খুলবেন না এই মর্মে সই করলেও ফের কেন সরব হয়েছেন ক্যাথরিন? “আমি ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার ভয় পেয়েছিলাম! কিন্তু পরে বুঝেছি- চুপ করে থাকাটাই আমার জীবনের ভুল! তার চেয়েও বড়ো ভুল ওঁর টাকা নেওয়া! কেন যে আমি এটা করতে গিয়েছিলাম! আর ঘটনাটা যখন ঘটেছিল- তখন ওঁর গলায় একটা জপমালা ছিল! আমি বার বার বলেছিলাম- কৃতকর্মের জন্য ঈশ্বরকে ভয় করো, কিন্তু উনি থামেননি”, দাবি ক্যাথরিনের!
Leave a reply