মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের বর্ণনায় ইসরায়েলি কারাগারের ভয়াবহ চিত্র

|

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পার সেখানকার ভয়াবহ নির্যাতনের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিরা। ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি এসব ফিলিস্তিনিদের ওপর মানসিক নিপীড়নও চালানো হয়। এসব কারাগারে প্রবেশের সুযোগ নেই বন্দিদের স্বজন কিংবা তাদের আইনজীবী বা মানবাধিকার কর্মীদের। খবর আল জাজিরার।

বন্দি ফিলিস্তিনিদের প্রতি অকথ্য নির্যাতন চালালেও হামাসের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলিদের চোখেমুখে ছিল আনন্দ আর কৃতজ্ঞতা। মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলিদের চোখমুখের উজ্জ্বলভাবই বলে দেয়, স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির কাছ থেকে কেমন আচরণ পেয়েছেন তারা। এখন পর্যন্ত যতজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস, সবাই জানিয়েছেন বন্দির মতো নয় বরং সম্মান আর পর্যাপ্ত সেবা পেয়েছেন হামাস সদস্যদের কাছ থেকে।

তবে বিপরীত চিত্র ইহুদিবাদীদের তরফ থেকে। এখন পর্যন্ত যে ক’জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন, সবার কণ্ঠেই উঠে এসেছে ইসরায়েলি কারাগারে ভয়াবহ নির্যাতন আর নিপীড়নের অভিজ্ঞতা।

মুক্তিপ্রাপ্ত এসব ফিলিস্তিনি জানান কারাগারের ভেতরের ভয়াবহ অবস্থার কথা। তারা জানান, ইসরায়েলিরা এমন আচরণ করতো, যেন মানুষই নন তারা। ভয় দেখানো থেকে শুরু করে শারীরিক-মানসিক সব ধরনের নির্যাতন করা হতো ইসরায়েলি কারাগারে। ইসরায়েলিদের লক্ষ্যই ছিল বন্দিরা যেন ভেঙে পড়ে।

গাজা থেকে আটক করা ফিলিস্তিনিদের রাখা হয়েছে নাক্বাব মরুভূমিতে অবস্থিত ইসরায়েলি তাইমেন সামরিক ঘাঁটিতে। পুরো বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে এই কারাগার। সেখানে কী চলছে তা বোঝার কোনো উপায় নেই।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply