স্টাফ করেসপনডেন্ট, শরিয়তপুর:
ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে যাবেন। ইচ্ছানুযায়ী সেই শখ পূরণও করলেন ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি এক যুবক। তবে সঙ্গে ছিল নববধূও। নিজের শখের পাশাপাশি এলাকাবাসী ও নববধূকেও চমকে দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হাজিক্যাম্পের একটি হোটেলে বিয়ে সম্পন্ন করেন এই যুগল। পরে বরের নিজ বাড়ি শরীয়তপুরের পন্ডিতসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হেলিকপ্টারে এসে নববধূসহ অবতরণ করেন তিনি।
বরের নাম নিলয় হাসান (৩৫)। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহিরকুশিয়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম ছৈয়ালের ছেলে। অন্যদিকে কনে সাবিনা আক্তার (২৫)। তিনি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চড়াইল্লাপুরের সাদেক হাওলাদারের মেয়ে।
জানা গেছে, বিয়ের আগের দিন বৃহস্পতিবারই ইতালি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন নিলয়। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে পৌঁছান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। আর এর পরেরদিনই বিয়ের পিড়িতে বসেন তিনি।
তবে বিয়ে করে বাড়িতে বউ আনতে সড়কপথ এড়িয়ে যান তিনি। সিদ্ধান্ত নেন উড়াল দেবেন হেলিকপ্টারে। সে অনুযায়ী প্রায় সোয়া এক লাখ টাকা দিয়ে ভাড়াও করেন হেলিকপ্টার। সেটায় চড়েই ফেরেন নিজ গ্রামে। পূরণ করেন নিজের বহুদিনের স্বপ্ন।
এদিকে হেলিকপ্টার দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় জমান হাজারও উৎসুক জনতা। পরে নববধূ ও বরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে নিলয় বলেন, তার অনেক আগে থেকেই শখ ছিলো হেলিকপ্টারে নিজ গ্রামে আসার। সেই স্বপ্ন থেকেই বিয়ে করে বউকে সাথে নিয়ে হেলিকপ্টারে গ্রামে আসা। চমৎকার অনুভূতি হচ্ছে বলে জানিয়ে এ সময় সকলের কাছে দোয়াও চান নিলয়।
স্বামীর প্রশংসা করে নববধূ সাবিনা বলেন, তিনি কোনদিনও ভাবেননি যে, এমন কিছু হতে পারে। তবে স্বামীর শখ পূরণ হওয়াতে খুশি তিনি। একইসাথে নিজেও হেলিকপটারে চড়তে পেরে অনেক আনন্দিত বলে জানিয়েছেন সাবিনা।
/এমএইচ
Leave a reply