নিজের কৃত্বিত্বের ভার ছোট বোন শেখ রেহানাকেও দিলেন বঙ্গবন্ধুর বড় কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানালেন, শেখ রেহানা যদি না থাকতেন, তিনি বোধ হয় কিছুই করতে পারতেন না।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার অবর্তমানেই আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় ’৮১ সালে। আমার ছেলে জয়ের বয়স তখন ১০, পুতুল ৮ বছরের। আমি তাদের মাতৃস্নেহ বঞ্চিত করে বাংলার মাঠিতে ফিরে আসি। আমি বুকে পাথর বেঁধে ফিরেছিলাম। আমার ছেলেমেয়েকে মানুষ করার দায়িত্ব শেখ রেহানাই নিয়েছিল। আমার চেয়ে ১০ বছরের ছোট রেহানা। তারপরেও সে এ দায়িত্ব নেয়। নিজের ছেলেমেয়ে, আমার ছেলেমেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করেছে রেহানা। সে যদি না থাকতো বোধ হয় আমি কিছু করতে পারতাম না।
বক্তব্যের শুরুতেই আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। বলেন বোনের প্রসঙ্গে-ও। সে সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানাও।
টুঙ্গিপাড়ার পর শেখ হাসিনা আজ বক্তৃতা দেবেন কোটালীপাড়ায়। এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী আসন। তাই নিজের জন্য ভোট চাইতে এলাকায় ছুটে যান শেখ হাসিনা। দুই বোন সকালে সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় মাঠ। জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে স্বাগত জানায় মানুষ। আর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা মঞ্চে উঠে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে তাদের অভিবাদন জানান।
গোপালগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি মাদারীপুর যাবেন। জেলার কালকিনিতে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
/এমএন
Leave a reply