বাবু সাহা, লেবানন:
লেবানন গত ৩ বছরের অর্থনৈতিক মন্দার জেরে আর্থিকভাবে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ। চরম অর্থনৈতিক মন্দা ও বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের প্রভাব কাটিয়ে বর্তমানে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করছে দেশটি। বর্তমানে একটি নির্দিষ্ট অংকে স্থিতিশীল অবস্থানে আছে ডলার। তাই ব্যবসা বাণিজ্যসহ সব লেনদেনই হচ্ছে ডলারে। এতে দেশটিতে থাকা প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশির মনে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
আগের চেয়ে আয় রোজগার কিছুটা কম হলেও ডলারে বেতন পাওয়ায় খুশি বাংলাদেশিরা। অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব কাটিয়ে আবারও নতুন উদ্যমে বন্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার চেষ্টা করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এতে সৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর কাজের চাহিদা। বেশিরভাগ প্রবাসী কর্মী নিজ দেশে ফিরে যাওয়ায় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মী পেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে আবারও নতুন ভিসায় বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা পুনরায় লেবাননে আসতে শুরু করেছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা অনেকটা এগিয়ে আছে। প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য হারে বাংলাদেশিরা নতুন ভিসায় দেশটিতে প্রবেশ করছে।
দূতাবাসের তথ্যমতে, প্রায় ৩০ হাজার অনিয়মিত বাংলাদেশি কর্মী দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছে। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান এসব বাংলাদেশিদের নিয়মিতকরণের বিষয়ে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রধান ও নিরাপত্তা প্রধানের সাথে ইতোমধ্যেই দেখা করেছেন। শিগগিরই বাংলাদেশ ও লেবানন সরকারের মাঝে শ্রম বাজার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা স্বাক্ষর ও অনিয়মিত নারী কর্মীদের নিয়মিতকরণের বিষয়ে লেবানন সরকারের ইতিবাচক সাড়া দেয়ার কথা বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত আরও জানিয়েছেন, নতুন ভিসায় আসা নারী কর্মীদের নূন্যতম মজুরি ৩ শত মার্কিন ডলার ও পুরুষ কর্মীদের নূন্যতম মজুরি ৪ শত মার্কিন ডলারে উন্নিত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বিহীন দেশটির শাসনভার এখনও তত্বাবধায়ক সরকারের হাতেই। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব কাটিয়ে পূর্ণাঙ্গ সরকার গঠন করতে পারলেই পুনরুদ্ধার হবে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সার্বিক অবস্থা, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশিরা।
এটিএম/
Leave a reply