এবার গুজব ঠেকানোকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সিইসি

|

ভোটার আর আইনসিদ্ধ কিছু ব্যক্তি ছাড়া কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন না। কোনো ভদ্র ব্যক্তিও যদি হন, তিনিও নন। এমনকি বাইরে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটরাও না। তাহলে বাইরে চাউর হয়ে যেতে পারে, ভেতরে ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢোকানো হচ্ছে। বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সকালে, রাজধানীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, সরকার ক্ষমতায় থেকেও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে, এবার তা প্রমাণ করতে হবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের দিন একটি বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তা হলো ডিজইনফরমেশন (গুজব)। সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর কাউন্টার দেয়া যায় কিনা, তা নিয়েও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। বলেন, ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারও গুজব ঠেকানোকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সিইসি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা প্রিজাইডিং অফিসার। তিনি যদি মনে করেন, ভেতরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তাহলেই কেবল ম্যাজিস্ট্রেটরা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকবেন। তা না হলে নয়। ম্যাজিস্ট্রেটরা বাইরে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

সিইসি বলেন, এরবাইরে আরেকটি গ্রুপ আছে, যারা কেন্দ্রের ভেতরে অবাধে ঢুকে পর্যবেক্ষণ করবেন। তারা গণমাধ্যমকর্মী। তাদের মাধ্যমেই ভোটের চিত্র দেশের মানুষ জানতে পারবে। তারা বের হয়ে যদি বলে ভেতরে মাস্তান, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সিইসি নিজেও ভোটের দিন সকাল থেকে কমিশনে বসে টেলিভিশনের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান।

শনার বলেন, এবার সার্বিক পরিচালনায় আরও মনোযোগী হতে হবে। রাজনৈতিক দলের একটি অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে, তাই আয়োজন ঘরে সার্বজনীন উৎসবমুখর এবার হচ্ছে না। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা ভোটাররা যদি দেখেন কেন্দ্রে কারচুপি হচ্ছে, তারা আর ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। তাই সার্বিক পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply