বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরপরই ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে এলো নিউজিল্যান্ড। সাকিব-লিটনের অনুপস্থিতিতে একপ্রকার হঠাৎ করেই ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পড়ল নাজমুল শান্তর কাঁধে। সিলেটে সেঞ্চুরি করা টেস্ট জিতে শান্তর শুরুটাও হল দুর্দান্ত।
দুই টেস্টে এক জয়, এক পরাজয়ের পর কিউইদের দেশে পাড়ি জমায় শান্তর দল। প্রথম দুই ওয়ানডে হারের পর সাদা বলে তাসমান পাড়ে প্রথম জয়। এরপর নেপিয়ারে লেখা হল প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের গল্পও। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় সবমিলিয়ে শান্তর অধিনায়কত্বে ৮ ম্যাচে তিন জয়, ৪ পরাজয়।
পরিসংখ্যান তো শান্তর পক্ষে কথা বলছেই। সেইসঙ্গে মাঠে অধিনায়ক শান্তর ক্রিকেট মস্তিষ্ক নিয়ে প্রশংসাও হয়েছে বেশ। তবে এখনও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে শান্তর অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত নিয়ে। যদিও কোচ বলছেন, নিজেকে প্রমাণ করেছে এই ব্যাটার।
হাথুরুসিংহে বলেন, এই সিরিজে দল দেখিয়েছে, তারা মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। শান্তর নেতৃত্ব অসাধারণ ছিল। টেকটিক্যালি ‘স্পট অন’ ছিল সে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্তা বিনিময়েও তাকে খুব পরিষ্কার দেখা গেছে। সতীর্থদের স্পষ্ট করে বলেছে, কার কাছে কী চায়। আমার মনে হয়, বোর্ড বেশ ভালোভাবেই চিন্তা করবে। অবশ্যই এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু শান্ত যথেষ্ট প্রমাণ করেছে, তাকে সিরিয়াসলি নেয়ার।
অধিনায়ক হিসেবে মাঠের পারফরম্যান্স আর দলকে এক সূতোয় বেঁধে রাখা যেমন জরুরি, তেমনি দরকার একটা সুখী ড্রেসিংরুম। সেখানেও শান্তর দশে দশ ইঙ্গিত টাইগার হেডমাস্টারের। তিনি বলেন, ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা বেশ ভালো। কারণ, তাদের মধ্যে যোগাযোগ আর বোঝাপড়াটা দারুণ। যেমনটা শান্তকে নিয়ে আমি আগেই বলেছি, ও এ বিষয়ে খুব পরিস্কার। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় বলে তাদের বিশ্বাস। আমার মনে হয়, সিরিজে তাদের মনে কোনো ভয় কাজ করেনি।
ভারত বিশ্বকাপের আগে একটি গণমাধ্যমে সাকিব বলেছিলেন, বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব করতে চান না তিনি। সেখান থেকেই পাল্টা প্রশ্ন, তাহলে কি স্থায়ীভাবে শান্তকে অধিনায়ক করতে যাচ্ছে বিসিবি? তবে এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সম্প্রতি বলেছেন, সাকিবই থাকছেন বাংলাদেশ দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। এখন দেখার অপেক্ষা, কার কাঁধে উঠছে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব?
/এএম
Leave a reply