ইউক্রেনের জন্য নতুন আতঙ্ক রুশ কে-এইচ টু-টু মিসাইল

|

যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের জন্য যেন মূর্তিমান আতঙ্ক রাশিয়ার কে-এইচ টু-টু সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। খোদ ইউক্রেনই বলছে, পুরোপুরি অপ্রতিরোধ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র। চলমান যুদ্ধে, ইউক্রেনজুড়ে কে-এইচ টু-টু মিসাইল ছোড়া হয়েছে প্রায় ৩০০টি। যার একটিও ভূপাতিত করতে পারেনি কিয়েভ সেনারা। সোভিয়েত যুগে তৈরি এই মিসাইল পারমাণবিক ও প্রচলিত- দু’ধরণের বিস্ফোরক বহনেই সক্ষম।

বছর শেষ হওয়ার মাত্র দু’দিন আগে ইউক্রেনজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভ, খারকিভসহ বেশ কয়েকটি শহর কেঁপে উঠেছে একের পর এক রুশ মিসাইল আর ড্রোনের আঘাতে। ২২ মাসের যুদ্ধে এর আগে এত জোরালো হামলার সাক্ষী হয়নি দেশটি।

একদিনেই মোট ১৫৮টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া, যারমধ্যে রয়েছে শাহেদ ড্রোন, কেএইচ- ওয়ান জিরো ওয়ান, কে এইচ ত্রিপল ফাইভ ক্রুজ মিসাইল, কেএইচ টু টু স্টর্ম ক্রুজ মিসাইল ও ইস্কান্দার ব্যালেস্টিক মিসাইল। এরমধ্যে, ১১৪টি ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন। তবে, আটটি কেএইচ টু-টু ক্ষেপণাস্ত্রের একটিও ধ্বংস করতে পারেনি কিয়েভ সেনারা। শুধু এবারই নয়, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় তিনশ’টি এই সুপারসনিক মিসাইল ছুঁড়েছে রাশিয়া, যার প্রত্যেকটিই আঘাত হেনেছে লক্ষ্যবস্তুতে।

৬০ এর দশকে সোভিয়েত আমলে তৈরি এই সুপারসনিক মিসাইলের উন্নত সংস্করণ বের করা হয় ৭০ এর দশকে। ঘন্টায় ৪ হাজার কিলোমিটার গতি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। এছাড়া বহন করতে পারে পারমাণবিক ও প্রচলিত দুই ধরণের বিস্ফোরকই। সবশেষে ২০১৬ সালে রুশ ভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে এর সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ কে-এইচ থ্রি-টু।

সাধারণত টি-ইউ টু টু এম থ্রি কৌশলগত বোমারু বিমান থেকে ছোঁড়া হয় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর, ৩৮৬টি কে-এইচ টু-টু মিসাইলের মালিক হয়েছিলো ইউক্রেনও। ২০০০ সালে, পারমাণবিক অস্ত্রশূন্য হওয়ার লক্ষ্যে এক চুক্তির আওতায় সবগুলোই রাশিয়াকে দিয়েছিলো দেশটি।

অত্যাধুনিক এসব ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়টের মতো অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আর তাই পশ্চিমাদের কাছে আরও প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম সহায়তা চাচ্ছে ইউক্রেন।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply