নেত্রকোণায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলামের চারটি নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এ সময় কার্যালয়ের সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পূর্বধলায় এসব ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের কর্মীরা এ হামলা করেছেন। আহতরা হলেন, বোরহান উদ্দিন, তুষার মিয়া, রফিকুল ইসলাম, মো. শাহাবুদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও হক মিয়া। 

হামলার বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার কর্মী-সমর্থকরা পুটিকা বাজারে নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে ছিলেন। এ সময় নৌকার কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে হামলা চালায়। এ সময় কার্যালয়ের সামনে থাকা সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় খলিশাউড় ইউনিয়নের ইছুলিয়া বাজারের আরেকটি নির্বাচনী ক্যাম্পে নৌকার সমর্থকেরা হামলা ও ভাঙচুর করে। এসব ঘটনায় রাত সাড়ে দশটার দিকে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, উচ্চ আদালতে আপিল করে ১৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর তাকে ট্রাক প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে নৌকার প্রার্থীর বাধার শিকার হচ্ছেন তিনি। এছাড়া কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি, প্রচারে বাধা ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির ঢাকা উত্তর মহানগর কৃষক লীগের সহ-সভাপতি। আর নৌকার প্রার্থী আহমেদ হোসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

হামলার বিষয়ে নৌকার প্রার্থী আহমেদ হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে মুঠোফোনে বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজনীন সুলতানাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ হারুন অর রশিদ সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিক।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকার আহমেদ হোসেন ও ট্রাকের মাজহারুল ইসলাম ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র আনোয়ার হোসেন (ঈগল), জাতীয় পার্টির ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ (লাঙ্গল) ও তৃণমূল বিএনপির আব্দুল ওয়াহাব হামিদী (সোনালী আঁশ)।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply