৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের জন্য একান্ত জরুরি। কারণ এই দেশ নিয়ে অনেকে অনেক খেলা খেলতে চায়। তা খেলতে দেয়া হবে না। একথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভোটে কোনো গন্ডগোল-সংঘাত চাই না। কোনো দুর্ঘটনা চাই না। সবাইকে সহনশীলতা বজায় রাখতে হবে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, রাজশাহী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সাথে নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কেউ কাউকে বাধা দেবেন না। ভোট অবাধ-সুষ্ঠু হবে। জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। সাত তারিখে জনতার জয় হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, অনেক উন্নয়নের পরেও ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারেনি। কারণ, দেশের গ্যাস অন্যের কাছে বিক্রি করতে চায় নি। বিএনপি-জামায়াত গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এরপর থেকেই দেশে শুরু হয় অরাজকতা। শুরু হয় জঙ্গিবাদ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছিল, ছিল হাওয়া ভবনও।
বিএনপি’র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল। ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছিল। তাদের দুঃশাসনে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, তাদের চরিত্র দুর্নীতি আর মানুষ খুন। এর চেয়ে জঘন্য আর কিছু হতে পারে না। তারা আবারও ভয়াল রূপ দেখাচ্ছে। রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলছে, আগুন দিচ্ছে। বাসেও আগুন দিচ্ছে। মায়ের কোলে সন্তান পুড়ে মারা যাচ্ছে। বলেন, বিএনপি কর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। সাংবাদিকদের ওপরও হামলা করেছে। এমন দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিতে হবে। আওয়ামী লীগে ভোট দিয়ে এর জবাব দেয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কারণেই দেশে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। সবার জন্য অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে, বৃদ্ধি করা হয়েছে কর্মসংস্থান। বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করার ব্যবস্থাও আওয়ামী লীগ করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
/এমএমএইচ
Leave a reply