কারাবন্দি ড. শহিদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির বন্দির সুবিধা (ডিভিশন) দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিলের নিয়মিত বেঞ্চ ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর শহিদুলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে থাকা শহিদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির বন্দি সুবিধা দিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি দেয়া এ আদেশ স্থগিত চেয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।
পরদিন এই আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে চেম্বার বিচারপতি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেন।
সে আদেশ অনুযায়ীই রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে তা চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে আদালত তা ১ অক্টোবর শুনানির জন্য রেখে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়।
ওই আবেদনই বৃহস্পতিবার তোলার পর খারিজ করে দেন আদালত।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট শহিদুল আলমকে ডিভিশন দিতে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করা হলে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে কারাবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বলেন।
কারা কর্তৃপক্ষ ২৮ আগস্ট তা অনুমোদনের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠায়।
এর এক সপ্তাহ পর ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনের দীর্ঘসূত্রিতার কারণ উল্লেখ ও প্রথম শ্রেণির বন্দী সুবিধা চেয়ে রিট করেন রেহনুমা আহমেদ।
উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত ৫ অগাস্ট রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে দৃক গ্যালারি প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলক আলমকে।
Leave a reply