বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদ থেকে দ্রুতই সরে আসতে চান বলে জানিয়েছেন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে এ কথা বলেন তিনি।
পাপন বলেন, আমার ইচ্ছে হলো এখান (বিসিবি) থেকে বের হবো, যতো দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসতে চাই। তবে এমন কিছু করবো না যেটির কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হয়। এখন এটি ছেড়ে দেয়া ভালো। তবে তার এই পদে থাকতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এখন আরও বড় দায়িত্ব পেয়েছি। সব খেলাই এখন আমাকে সমান চোখে দেখতে হবে এবং মনোযোগী হতে হবে। সেজন্য বিসিবির সভাপতি হিসেবে সেখানে যে সময় দিতে হবে সে সময় দিতে পারবো না। তাই আমার সরে আসাই উচিত।
নতুন সভাপতি কে হবেন এ বিষয়ে পাপন আরও বলেন, এখানে তো একটি প্রক্রিয়া আছে। এর মধ্যে একটি হলো আমাদের যে মেয়াদ, সেটি সামনের বছর শেষ হবে। এই মেয়াদের পর যদি আমি না দাঁড়াই তাহলে তো শেষ। নতুন যারা আসবে তারা তাদের মতো বোর্ড ও সভাপতি বানাবে। এটি খুবই সহজ প্রক্রিয়া। প্রথমে কাউকে কাউন্সিলর হতে হবে, তারপর তাকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। নির্বাচিতদের মধ্যে থেকেই বোর্ডে যারা থাকবেন তার নির্ধারণ করবেন কে সভাপতি হবে। এখানে সরকারের বা বাইরের কারও প্রভাব থাকবে না।
বিসিবিতে থাকার বিষয়ে সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, দুই টার্ম সভাপতি হওয়ার পর আমি এবার কিন্তু সভাপতি হতে চাচ্ছিলাম না। এবারই যেহেতু চাইনি, পরে আবার হবো এবং কন্টিনিউ করার প্রশ্নই ওঠে না। আমি চাইনি, তারপরও হতে হয়েছে বা হয়েছি।
স্টেডিয়াম তৈরি না করে খেলার মাঠকে গুরুত্ব দিতে চান সরকারের এই মন্ত্রী। যেখানে সবাই খেলার সুযোগ পাবেন জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, আমি স্টেডিয়ামের পক্ষে না, সবসময় খেলার মাঠের পক্ষে। আমাদের খেলার মাঠের অভাব। স্টেডিয়াম মানে বাউন্ডারি দেয়ালে ঘেরা মাঠের কথা বলছি। সব খেলার মাঠ উন্মুক্ত থাকবে; যেখানে বাচ্চারা খেলতে পারবে। তবে আমরা দেখি একটি স্টেডিয়াম করার পর সেখানে বছরে এক-দুইটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পর সবসময় তালা লাগানো থাকে। সেখানে বাচ্চারা ঢুকতে পারে না, খেলতে পারে না। তাহলে এমন স্টেডিয়াম কী কাজে আসবে? সব মাঠ হবে উন্মুক্ত, যাতে বাচ্চারা খেলার সুযোগ পায়।
/এনকে
Leave a reply