আইসিসির ডিসেম্বর মাস সেরার লড়াইয়ে গ্লেন ফিলিপস আর প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম। মূলত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। বাংলাদেশকে সিলেট টেস্ট জেতাতে বড় ভূমিকাও রেখেছিলেন তাইজুল। তবে সেরা হওয়া তার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। কারণ ডিসেম্বরের পারফরম্যান্সে বাকিদের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক কামিন্স, অনুমিতভাবেই তিনিই হয়েছেন সেরা।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ডিসেম্বর মাসে সেরা নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। নারীদের মধ্যে সেরা হয়েছেন ভারতের দীপ্তি শর্মা, তিনি পেছনে ফেলেছেন স্বদেশী জেমাইমা রদ্রিগুয়েজ ও জিম্বাবুয়ের প্রেশাস মারাঙ্গেকে।
প্রথমবারের মতো খেতাবটি জিতে উচ্ছ্বসিত প্যাট কামিন্স। স্বীকৃতি পেয়ে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। কামিন্স বলেন, সব ফরম্যাটে দলের জন্য দারুণ একটা বছর গেছে। পাকিস্তানের মতো চ্যালেঞ্জিং একটা দলের বিপক্ষে (টেস্ট সিরিজ) জিতে শেষটাও ভালো হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত এই গ্রীষ্মের পারফরম্যান্সে আমরা সন্তুষ্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য অপেক্ষা করছি।
গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত ছিলেন প্যাট কামিন্স। পার্থে প্রথম টেস্টে ৫ উইকেট নেয়া কামিন্স মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে দুই ইনিংসেই নেন ৫টি করে উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে কামিন্সের কাছেই হেরে যায় পাকিস্তান। আর সিডনি টেস্টে ৪ উইকেট পান কামিন্স। তিন ম্যাচে ৩৮ রান এবং ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
ডিসেম্বরে দুটি টেস্ট খেলেছেন তাইজুল। সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেট নেন তাইজুল। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ১৫০ রানে। মিরপুরে সিরিজের শেষ টেস্টে হারলেও দুই ইনিংস মিলিয়ে তাইজুল শিকার করেন ৫ উইকেট। দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে সিরিজসেরাও হন ৩১ বছর বয়সী এই স্পিনার।
ডিসেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তাইজুল ও কামিন্সের সঙ্গে ছিলেন গ্লেন ফিলিপসও। মারকুটে ব্যাটিংয়ে পরিচিত হলেও সিলেট টেস্টে অফ স্পিনে জাদু দেখান ফিলিপস। পুরো ম্যাচে ৫ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৬২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেছেন কিউই এই ব্যাটার।
ফিলিপস নিজের জাত আরও ভালোভাবে চিনিয়েছেন দ্বিতীয় টেস্টে। মিরপুরের স্পিন স্বর্গে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাটিংয়েও অবদান রাখেন। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে আসেন ফিলিপস। এরপর খেলেন ৭২ বলে ৮৭ রানের ইনিংস। তারপর দ্বিতীয় ইনিংসেও খেলেন অপরাজিত ৪০ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস।
/আরআইএম
Leave a reply