প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মৎস্য আহরণের ফলে বিলুপ্তির পথে ইল মাছ। ফলে বাজারে দামও বাড়ছে এই মাছটির। এমন পরিস্থিতিতে ইলের মাংস কৃত্রিমভাবে পরীক্ষাগারেই তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন গবেষকেরা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের ফরসি ফুডস প্রথম ইল মাছের মাংস পরীক্ষাগারে উৎপাদন করেছে। উৎপাদনে জাপানের উনাগি ইল মাছের ভ্রূণ ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃত্রিমভাবে তৈরি মাংস খাওয়া প্রসঙ্গে গবেষকেরা বলেন, গবেষণাগারে তৈরি ইল মাছের মাংস খেতে নৈতিকভাবে কোনো বাধা নেই।
ফরসি ফুডস পরীক্ষাগারে তৈরি ইলের মাংস ব্যবহার করে জাপানি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দুই ধরনের খাবার তৈরি করছে। একটি হচ্ছে ভাতের সঙ্গে খাবারের জন্য উনাগি কাবায়াকি। অন্যটি সুসির সঙ্গে খাবারের জন্য উনাগি নিগিরি। প্রতিষ্ঠানটি দুই বছরের মধ্যে পরীক্ষাগারে তৈরি ইলের মাংস বাজারে বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
ইল মাছ জাপানিদের খুবই প্রিয়। তাই জাপানে এই মাছের চাহিদা খুবই বেশি। ২০২৩ সালে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পরীক্ষাগারে উৎপাদন করা মাংস খাওয়ার ব্যাপারে তার সমর্থন দিয়েছেন।
বর্তমানে জাপানিজ বাজারে, এক কেজি ইলের দাম ২৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার টাকা। ফরসি ফুডের দাবি, এই দামের মধ্যেই পরীক্ষাগারে তৈরি ইলের মাংস বিক্রি করা সম্ভব।
\এআই/
Leave a reply