‘অর্থহীন’ ব্যান্ডের প্রধান সাইদুস সালেহীন সুমন। শ্রোতারা তাকে ডাকে ‘বেজবাবা সুমন’ নামেই। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার রোগা-পাতলা একটা স্থিরচিত্র ছড়িয়ে পড়ে। ছবি দেখে শুভাকাঙ্ক্ষীরা যখন চিন্তায় মগ্ন, সুমন তখন জানালেন– তিনি এখন ক্যানসারমুক্ত। জানা গেলো, গত দুই বছরে প্রায় ৭০ কেজি ওজনও কমিয়েছেন বেজবাবা।
নিজের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন এই মিউজিশিয়ান। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি ভয়াবহ অসুস্থ নই। শরীরে কোনো প্রকার ক্যানসারের বাসা নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, তার স্পাইনে সমস্যা আছে, ভবিষ্যতে এটার জন্য সার্জারিও করাতে হবে। কিন্তু এটা এতো ভয়াবহ না যে, তিনি কনসার্ট করতে পারবেন না। ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩-এ স্পাইনের খারাপ অবস্থা নিয়েই কনসার্টগুলো করেছেন সুমন।
‘বেজবাবা’ বলেন, তিনি গত ২ বছরে প্রায় ৭০ কেজি ওজন কমিয়েছেন শুধু ফুড, মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে। কারণ, তার স্পাইন ঠিক রাখতে হলে শরীরের ওপরের অংশের ওজন অনেক কম রাখতে হবে, যাতে স্পাইনে চাপ না পড়ে। এক্ষেত্রে, সাধারণ মানুষের মতো ওজন মেনটেইন করলে চলবে না। কিছুটা ‘আন্ডার ওয়েট’ থাকতে হবে। সুমন বলেন, ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অনেক বছর পর ক্লিন সেভ করেছেন। তাই হয়তো তাকে দেখে আরও বেশি শুকনা লাগছে।
দীর্ঘদিন ধরে জটিল অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন ‘অর্থহীন’ ব্যান্ড প্রধান। প্রথমে ক্যানসার, এরপর স্পাইন জটিলতা। সড়ক দুর্ঘটনারও শিকার হন। গত বছরের শেষ দিকে চোখের সমস্যাও ধরা পড়ে। দুটি চোখে সার্জারি করাতে হয়েছিল তাকে। সে প্রসঙ্গে সুমন বলেন, চোখের অবস্থা ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আমার চোখ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেন, আমাকে অনেক শুকনো দেখে আপনারা যেভাবে টেনশন করছেন, সেটা করাটা ঠিক হচ্ছে না। অনর্থক মানসিক টেনশন নিচ্ছেন। সুমন বলেন, তার যখন ‘প্রকৃত’ বিপদ আসবে, তখন শ্রোতাদের দোয়া প্রয়োজন। কারণ, ভক্তদের ভালোবাসা ও দোয়ার কারণে এখনও সকালে ঘুম থেকে উঠে বলতে পারেন– ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
তিনি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আমার ইন্সপিরেশন। আপনারা আমার অদ্ভুত ছেলে বা মেয়ে। আপনারা আমার এন্টিডোট, সুপার হিরো! এখানে ব্যাটম্যান বা সুপারম্যানের জায়গা নেই। আপনারাই আমার ‘অদ্ভুত’!
‘বেজবাবা’ নিজের ফেসবুক পোস্টের ইতি টানেন এভাবেই– সুতরাং আমাকে নিয়ে আপনারা দুশ্চিন্তা করা বাদ দেন।
/এএম
Leave a reply