ফারহানা ন্যান্সি:
বই মেলা শুরু হচ্ছে এক সপ্তাহ পরেই। মেলা আয়োজনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে এখন। মেলা প্রাঙ্গনে তৈরি হচ্ছে স্টল। কদিন বাদেই এসব স্টলের তাকগুলো ভরে উঠবে নতুন মলাটের বইয়ে। এই আয়োজনের ব্যস্ততার তোড়জোড় ছাপাখানায় এসে লেগেছে। বাংলাবাজার ছাপাখানার কর্মীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তারা বলছেন, এখন কাজের মৌসুম। মেলার পর এখন কাজ থাকে না, আগে থাকতো। ১০-১৫ টা বই ছাপা হলে দেখা যায়, দুই থেকে তিন হাজার কপি হয়।
এদিকে, প্রকাশকরা আশা করছেন, দিনরাত ছাপাখানার ব্যস্ততায় মেলার প্রথমেই তারা নতুন বইয়ের সম্ভার নিয়ে হাজির হতে পারবেন। অধিকাংশদেরই ৩০-৪০ শতাংশ বইয়ের কাজ সম্পন্ন।
সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেছেন, সম্পাদনার কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ। আর প্র্যাক্টিক্যাল ফিল্ডের কাজ যেমন প্রিন্টিং, বাঁধাই— এগুলো ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ হয়েছে।
অন্বেষা প্রকাশনের প্রকাশক শাহাদাত হোসেন বলেন, এবারের মেলায় যে বইগুলো আনবো, সেগুলোর ৫০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। বাকি কাজ আগাচ্ছে।
শুধু মেলার সময় নয়, পুরো বছর যেনো বই পড়ার চর্চা হয়, সে লক্ষ্যে রাষ্ট্র উদ্যোগ নেবে বলে প্রত্যাশা প্রকাশকদের। আর কমিশনের পরিমাণ বাড়লে সেটা বইয়ের মূল দামে প্রভাব ফেলবেই, তাই এ বিষয়ে নজর দেয়ার আহ্বান তাদের।
শাহাদাত হোসেন বলেন, সাময়িকভাবে মনে হতে পারে কমিশন বেশি দেয়াতে লাভবান হচ্ছে। কিন্তু আমরা যখন বইটা করি তখন নির্মাণের ক্ষেত্রে দামটাও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তখন বইয়ের দামটা বেড়ে যাবে।
ফরিদ আহমেদ বললেন, পাঠপ্রবণতা বৃদ্ধি করতে হলে পাঠসামগ্রী সহজলভ্য করার যে প্রক্রিয়া তাতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসা দরকার।
এবার বইমেলায় মেট্রোরেলের সুবিধা পাঠকদের জন্য বাড়তি পাওয়া হবে বলেও মনে করেছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
/এমএন
Leave a reply