দিনাজপুর করেসপনডেন্ট:
আজ দিনাজপুরে চলতি বছরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অধিদফতর। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে, আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দিনাজপুরের তাপমাত্রা আরও দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলো।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলার ওপর দিয়ে। গত কয়েকদিনের তুলনায় দিনাজপুরে তাপমাত্রার উঠানামা বেড়েছে। এতে কনকনে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
গতকাল শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে সেটিকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
এদিকে বেলা বাড়লেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে জেলার চারপাশ। তাপমাত্রার পারদ নেমে আসায় ও শীতের তীব্রতা বাড়ায় বেশী দুর্ভোগে ও বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী এবং নিম্ন আয়ের মানুষরা। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কমে গেছে। কনকনে শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে জনদুর্ভোগ।
অন্যদিকে, শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগব্যাধি। আক্রান্তের বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগীর চাপ বেশি। পরিস্থিতি সামাল দিতে, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় মৌসুমের ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। যা ছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
/আরএইচ
Leave a reply