জাতীয় নির্বাচনের সম্পূর্ণ ফলাফল ঘোষণার পর সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানে অস্থিরতা আরও বাড়বে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠনের বিকল্প নেই। ফলে জাতীয় ইস্যুতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকবে না নতুন সরকারের। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানায়পাকিস্তানে নির্বাচন পরবর্তী রাজনীতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই অস্থিতিশীল পাকিস্তানের রাজনীতি। রেকর্ড মূল্যস্ফীতি আর বেকারত্বসহ নানামুখী সংকটে বিপর্যস্ত অর্থনীতি। বেড়েছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও। এই দূরাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা পাকিস্তানিদের, কিছুটা হলেও আশা দেখাচ্ছিলো জাতীয় নির্বাচন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নাটকীয়তায় ঘেরা নির্বাচনের ফলাফল আরও বেশি অনিশ্চয়তায় ফেলেছে পারমাণবিক শক্তিধর দেশটিকে। সাধারণ নির্বাচনে, নওয়াজ শরীফের পিএলএমএন কিংবা বিলওয়াল ভুট্টোর পিপিপি সরকার গঠনে কাঙ্ক্ষিত ম্যাজিক ফিগার পায়নি। কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা চমক দেখিয়ে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় নিশ্চিত করলেও, পায়নি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
দলগুলোর সামনে এখন একটাই পথ, জোট সরকার গঠন। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যুতেই একক সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা থাকবে না কোনো দলেরই। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন জোড়াতালির সরকারের জন্য দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেয়া হবে আরও কঠিন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আঘা মাসুদ হুসাইন বলেন, এটি হবে একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট। বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। আর এ ধরণের পার্লামেন্ট এমন পরিস্থিতিতে কোনো সুফলই বয়ে আনতে পারবে না। এখন এটাই দেখার বিষয় জোট সরকার কিভাবে এসব সংকট মোকাবেলা করে।
চলমান অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি মোকাবেলা করতে হবে জঙ্গি তৎপরতাও। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতো সংকট মোকাবেলা করে টিকে থাকাই হবে জোট সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
\এআই/
Leave a reply