রেড ক্রিসেন্টে কল করেও বাঁচতে পারলো না ফিলিস্তিনি শিশু রজব

|

আকুতি জানিয়েও ইসরায়েলের আগ্রসন থেকে বাঁচতে পারেনি ছয় বছরের শিশু হিন্দ রজব। ১২ দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে তার মরদেহ। তেল আবিবের হামলায় প্রাণ গেছে তাকে উদ্ধার করতে যাওয়া রেড ক্রিসেন্টের দুই কর্মীরও।

গাজা সিটি থেকে পরিবারের সদস্যদের সাথে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইহুদি সেনাদের হামলায় তাদের বহনকারী গাড়িতে আগুন লেগে যায়। রেড ক্রিসেন্টে কল দিয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল আতঙ্কিত হিন্দ। যে কথোপকথন নাড়িয়ে দেয় বিশ্বকে।

‘আমি খুব ভয় পাচ্ছি। দয়া করে তোমরা আসো, আমাকে উদ্ধার করো’ প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জরুরি নম্বরে কল দিয়ে এভাবেই বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল ছয় বছরের এই ছোট্ট শিশু। তখনও অপর প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছিল মুহূর্মুহু গুলির শব্দ।

এ ব্যাপারে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ বলেন, তিন ঘণ্টা আমরা হিন্দের সাথে ফোন কলে থেকে তাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলাম। সে বারবার আমাদের কর্মী পাঠানোর আকুতি জানাচ্ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে যেতে পারছিলাম না, কারণ জায়গাটি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমাদের তেল আবিবের গ্রিন সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে।

সংস্থাটির মুখপাত্র আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা আমাদের সহকর্মী ইউসুফ আল জেইনো ও আহমেদ আল মাধুনের শহীদ হওয়ার খবর পেয়েছি, যারা শিশু হিন্দকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি হিন্দ রজবের ডাকে সাড়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তাকে উদ্ধার করতে যান রেড ক্রিসেন্টের দুই কর্মীও। কিন্তু ফিরে আসেননি তারাও।

ঘটনার ১২ দিন পর ১০ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার হলো ছয় বছরের শিশুটির নিষ্প্রাণ দেহ। হিন্দসহ তাকে বহনকারী গাড়িতে পাওয়া গেছে আরও পাঁচজনের মরদেহ। পাশেই পাওয়া যায় উদ্ধারকারী অ্যাম্বুলেন্সের ধ্বংসাবশেষও।

ইসরায়েলের কাছে সবুজ সংকেত পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধারে পাঠানো হয় অ্যাম্বুলেন্স। এরপরও ইচ্ছাকৃতভাবেই অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায় বলে অভিযোগ রেড ক্রিসেন্টের।

এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। তদন্তের দাবিও উঠেছে। অবশ্য দেশটির চলমান আগ্রাসনে বহুবারই তেল আবিবের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে হাসপাতাল-অ্যাম্বুলেন্স।

/এটিএম/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply