‘মামা পার্টি’র মিষ্টি কথার ফাঁদে পড়লেই হারাতে হয় সব

|

প্রথমে মামা ডেকে সালাম দিয়ে পরিচয়ের সূত্রপাত করে। এরপর কথোপকথনের মাধ্যমে বাড়ায় ঘনিষ্ঠতা। তার মধ্যেই সুবিধাজনক সময়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায় তারা। এরপর নির্জন জায়গা দেখে ভুক্তভোগীকে ফেলে যায়। এভাবেই কুখ্যাত ‘মামা পার্টি’ নিজেদের কার্যসিদ্ধ করে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ‘মামা পার্টি’র মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের কথা জানায় র‍্যাব-১০।

গত দুদিন আগে নরসিংদী থেকে ঢাকা আসার পথে তাদের অপরাধ কর্মের শিকার হন এক ব্যক্তি। তিনি বর্তমানে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া, গত বছরের ২৬ জুন ফরিদপুরে যাত্রীবেশে অটোরিকশা উঠে এর চালক সাদ্দামকে হত্যা করে। পরে তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করে এই পার্টির সদস্যরা।

র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, এই পার্টির সদস্যরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বন করে। কখনও এরা যাত্রীবেশে বিভিন্ন বাসট্যান্ডে গিয়ে যাত্রীদের টার্গেট করে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। আবার কখনও প্রাইভেটকারে যাত্রীবেশে বসে থেকে যাত্রী উঠায়। পরে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ফারুক আহমেদ নিয়মিত উবার সার্ভিসে গাড়ি চালান। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। তারা গ্রেফতার হয়ে জামিনে বের হয়ে আবারও অপকর্মে লিপ্ত হয়। এ সময় চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

তাদের নাম কেন মামা পার্টি এ সম্পর্কে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, তারা টার্গেটকৃত যাত্রীকে মামা ডেকে সম্বোধন করে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। এছাড়া তারা নিজেরাও একে অপরকে মামা ডেকে থাকে।

জানানো হয়, চক্রটির মোট ১০ জন যাত্রীবেশে গাড়ি ছিনতাই, যাত্রীর সর্বস্ব লুট ইত্যাদি কাজে জড়িত। বর্তমানে চক্রটির মোট ৭ সদস্য গ্রেফতার রয়েছে।

/আরএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply