গত ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে হৃত্বিক রোশন অভিনীত ছবি ‘ফাইটার’। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন হৃত্বিক। মিরর সেলফির ছবিটি নায়ক আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই তুলেছেন। দেখা যাচ্ছে, ক্র্যাচের সাহায্যে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে হাই দিচ্ছেন যেনো নিজেকেই। পরনে রয়েছে হাফ প্যান্ট, এলোমেলো চুল, গাল ভর্তি দাড়ি। তবে কি বড় কোনো বিপদ বা দুর্ঘটনায় পরেছিলেন তিনি?
ফাইটার ছবিতে বিমানবাহিনীর চৌকস অফিসারের চরিত্রে দেখা গিয়েছে বলিউডের এই গ্রিক গডকে। ফাইটার প্রথম কোন ভারতীয় ছবি যা অ্যারিয়াল অ্যাকশনের সিনেমাটোগ্রাফি ধারণ করেছে।
কিন্তু এই ছবির জন্য গত দু’বছর ধরে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয়েছে অভিনেতাকে। চরিত্র অনু্যায়ী শরীরের নির্দিষ্ট আকার দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন জিমে। স্বাভাবিক খাদ্যাভাস পরিবর্তনসহ তা একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হয়েছিল। সিনেমা মুক্তি পর থেকে সেভাবে আর ক্যামেরার সামেন দেখা যায়নি হৃত্বিককে।
আসলে কয়েকদিন আগে অভিনেতার পেশিতে টান লাগলে কিছুটা আঘাত পান তিনি। যার ফলে চলতে ফিরতে অসুবিধা হয়। হাঁটতেও পারছেন না স্বাভাবিকভাবে। তবে সুপারস্টার বলে ক্র্যাচ ব্যবহার করবেন না, তেমনটা নয়। বরং সুস্থ হয়ে উঠতেই ক্র্যাচের অবলম্বন গ্রহণ করছেন। ভক্তদের সাথ শেয়ার করেছেন নিখাঁদ রিয়েলিজমের এই ছবি।
হৃত্বিক বিশাল একটি ক্যাপশনে লিখেছেন, পুরুষেরা অনেক সময় নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবেন না। উদাহরণ হিসেবে নিজের দাদু রোশন নাগরাথ ও বাবা রাকেশ রোশনের কথাও উল্লেখ করেন পোস্টে। তিনি লিখেন, জানি না, আপনাদের কত জনের ঠিক হুইলচেয়ারে বসে বা ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আমার দাদুকে দেখেছি। শারীরিক কষ্ট সত্ত্বেও হুইলচেয়ারে বসবেন না। কারণ, তাতে নাকি পুরুষের দুর্বলতা ফুটে ওঠে। বাবাকেও দেখেছি এরকম জেদ করতে। আসলে শক্তি সেটাই যেটা তোমাকে সহজ হতে শেখায় অন্য কোনও দুশ্চিন্তা ছাড়া। সারাক্ষণ পুরুষ মানেই কঠিন ও শক্তিশালী, এটি ব্যক্তিত্বের একগুঁয়েমিকেই প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, হৃত্বিকের পরবর্তী সিনেমা ওয়ার-২ , যা ২০২৫ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
এমএইচআর/এটিএম
Leave a reply