ঢাকার লজ্জার রেকর্ডের দিনে জয়ে ফিরলো খুলনা

|

চলতি বিপিএল আসরে জয় দিয়েই শুরু করেছিল দুর্দান্ত ঢাকা। উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৫ ‍উইকেটে হারিয়েছিল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। এরপর আর জয়ের মুখ দেখেনি দলটি। মোসাদ্দেকের পর নেতৃত্বে ফিরেছেন তাসকিন। এরপরও ভাগ্যের শিঁকে ছেড়েনি দলটির। ‍উল্টো যেন, হারের ষোলকলা পূর্ণ করেছে ঢাকা। টানা ১০ ম্যাচ হেরে লজ্জার এক রেকর্ড গড়েছে ঢাকা। টানা এত ম্যাচ হারার লজ্জার রেকর্ড বিপিএলে কোনো দলেরই নেই।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনার কাছে ৫ উইকেটে হারে দুর্দান্ত ঢাকা। দলটির দেয়া ১২৯ রানের লক্ষ্য ২৮ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় এনামুল বিজয়ের দল। ম্যাচ সেরা হন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার পারনেল। এই জয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকলো খুলনা টাইগার্স। পাশাপাশি টানা পাঁচ হারের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসলো খুলনা।

চলতি আসরে উইকেট যেমনই হোক, দুর্দান্ত ঢাকার ব্যাটিং দেখে মনে হয় সেটি বোলিং সহায়ক। চট্টগ্রামে হাইস্কোরিং পিচেও খুলনার বিপক্ষে ২৭ রানেই নেই তিন ব্যাটার। প্রোটিয়া অলরাউন্ডার পারনেলের পেসে নাঈম ৫, সাইফ ০ আর রোসিংটন ফেরেন ১৮ রান করে।

এরপর খুলনার আরেক বাহাতি পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বল খেলতে গিয়ে নাকাল ঢাকার মিডলঅর্ডার। জিম্বাবুইয়ান উইলিয়ামসন ডাক মারলেও। সেট হওয়া ইরফান শুক্কুর ২৫ আর মোসাদ্দেক সৈকত ২৬ রান করে কাটা পড়েন মুগ্ধর পেসে। আর অ্যালেক্স রোস ২৫ করে রানআউটে কাটা পড়লে ৭ উইকেটে মাত্র ১২৮ রানের মামুলি পুজি পায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া খালেদ মাহমুদ সুজনের দল।

ছোট পুঁজিতেও দারুণ বোলিংয়ে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন ইনফর্ম পেসার শরীফুল ইসলাম। প্রথম বলেই ইনসুইংয়ে বিজয়কে বোল্ড করেন শরীফুল। এরপর ক্যারিবিয়ান ওপেনার এভিন লুইসকেও সাজঘরে পাঠান পঞ্চগড়ের এই পেসার। ১৭ রানে ২ উইকেট হারায় খুলনা।

কিন্তু ব্যাটিং ট্রাকে ছোট টার্গেট পেরোতে বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। পারভেজ ইমনের ৪০, শেই হোপের ৩২ আর আফিফ হোসেনের ২১ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২৮ বল আগে ৫ উইকেটের সহজ জয় পায় খুলনা।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply