পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দেশটির পার্লামেন্টে বিরোধী দলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে বিরোধী দলে যোগদানের ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দেশটির সাধারণ নির্বাচনে দলীয় পরিচয়ে অংশ না নিতে পারলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়েন পিটিআইয়ের নেতারা। তাতে ইমরান খানের ৯৩ জন অনুসারী জয়ী হয়েছেন। এছাড়া, কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ অবস্থায় সরকার গঠন করতে হলে জোটের বিকল্প নেই।
কিন্তু ২০২২ সালে যেসব রাজনৈতিক দল আন্দোলন করে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে হটিয়েছেন, সেসব দলের সাথে পিটিআই ঐক্য করবে না বলে জানায়।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, এদিন রাজধানী ইসলামাবাদে কওমি ওয়াতান পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে দলীয় এ সিদ্ধান্ত জানান পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতা ও মুখপাত্র ব্যারিস্টার মুহম্মদ আলী খান আসিফ।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতালোভী, এমন অভিযোগ অনেকেই করেন। এবারের নির্বাচনে আমরা জাতীয় পরিষদ ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভায় যত আসন পেয়েছি, তাতে চাইলে আমরা কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করছি না। এর পরিবর্তে পার্লামেন্টে আমরা বিরোধী দলে থাকব। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত।
এবারের নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪টি আসন পেয়েছে। জোট সরকার গঠনে দল দুইটি আলোচনা চালাচ্ছে।
এদিকে, পিটিআই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রার্থী ঘোষণাও করেছিল। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের নাতি ওমর আইয়ুব খানকে প্রার্থী করার ঘোষণা দেয়। তবে, ভোটের ফলাফলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা দল দুইটি ঐক্যমতে পৌঁছালে ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়টি অনেকটা ভেস্তে যায়।
/এমএইচআর/এমএন
Leave a reply