ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি ফের আলোচনায়। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের সংসারজীবনের ইতি ঘটতে যাচ্ছে, এমনটা জানিয়ে ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। নেটিজেনদের মন্তব্যে ভরে গেছে সেই ভিডিওর কমেন্টবক্স। এরপর থেকেই আড়ালে রয়েছেন তিনি।
আজ একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় নায়িকার সাথে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোনে খুদে বার্তা পাঠালেও তার উত্তর দেননি মাহি। নায়িকার পরিচিত এবং ইন্ডাস্ট্রিতে সখ্যতা রয়েছে, এমন কয়েকজনের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা করে যমুনা টেলিভিশন। কিন্তু কেউই মাহির ব্যক্তিজীবনের এই ঘটনা নিয়ে খুব একটা কথা বলতে রাজি নন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে তার সহকর্মীরাও বেশ অবাক হয়েছেন বলে বোঝা গিয়েছে।এজন্য সবকিছু থেকে নিজেকে আড়াল করতে চাইছেন মাহি।
এদিকে মাহির স্বামী রকিব সরকারের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনিও মাহির মতই মুখে কুলুপ এটেছেন। সকালে তার বাড়িতে গেলেও তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হতে রাজি হননি।
রকিবের আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। সেই সংসার টিকেছিল ৫ বছর। পরে বিয়ে করেন রকিবকে। মাহির মত রকিবেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহি রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। পান ৯ হাজার ৯ ভোট। নির্বাচনে হারের পর সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহি। সেখানেও নায়িকাকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
এদিকে বেশ কিছুদিন বড় পর্দায়ও দেখা যায়নি মাহিকে। মুক্তি পায়নি তার তেমন কোন সিনেমা। একসময় জাজ মাল্টিমিডিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি অগ্নি’তে অভিনয় করে ভক্তদের দেয়া অগ্নিকণ্যা খেতাবটাও হারাতে বসেছেন তিনি।
২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রং’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হয়েছিল মাহিয়া মাহির। এক যুগের ক্যারিয়ারে ব্যক্তিজীবন ও পেশাদার দু’জায়গাতেই ছিলেন আলোচনায়।
/এমএইচআর
Leave a reply