এক ট্রফি- দুই চ্যাম্পিয়ন। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের নাটকীয় ও রোমাঞ্চকর এক ফাইনালে ভারতের সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হতে হয় বাংলাদেশকে। অতিথি দল হিসেবে সেই ট্রফি দিয়ে দেয়া হয়েছিল ভারতকে। তখনই বাংলাদেশকে নতুন ট্রফি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল সাফ। অবশেষে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ১০ দিন পর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হয় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপটি ছিল মূলত বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাগরিকাময়। দু’টি ম্যাচে জয়ের কান্ডারি এবং ফাইনালে শেষ মুহূর্তে সমতাসূচক গোলটিও তার। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্ট সেরা হন সাগরিকা। আর চার গোল করে ভারতের পূজা ও শিবানী দেবীর সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন তিনি।
বছরের প্রথম টুর্নামেন্টই বাজিমাত বাংলাদেশের। সেই সাফল্য এসেছে কোচ সাইফুল বারী টিটুর হাত ধরেই। এই আত্মবিশ্বাস ও ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চান তিনি। সাইফুল বারী টিটু বলেন, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন এমন একটা বোঝা ছিল আমার ওপর। চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই দায়িত্বটা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আরও ভালো লাগতো।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপটি ছিল মূলত বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাগরিকাময়। দু’টি ম্যাচে জয়ের কান্ডারি এবং ফাইনালে শেষ মুহূর্তে সমতাসূচক গোলটিও তার। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্ট সেরা হন সাগরিকা। আর চার গোল করে ভারতের পূজা ও শিবানী দেবীর সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন তিনি।
দু’টি পুরস্কার হাতে নিয়ে উচ্ছাসিত সাগরিকা বলেন, ভালো লাগছে। আমি দু’টি পুরস্কার পেয়েছি। জানতাম না আমি পুরস্কার পাবো। আজ সকালে শুনেছি। আমি আরও এগোতে চাই। এজন্য আরও বেশি ভালো খেলে জায়গা তৈরি করতে চাই।
টুর্নামেন্টের আগে-পরে কেমন পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সাগরিকা বলেন, টুর্নামেন্টের আগে সাগরিকাকে কেউ চিনত না। এখন অনেকে চেনে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকারও সতীর্থ সাগরিকার প্রশংসা করে বলেন, সাগরিকা খুবই ভালো খেলোয়াড়। ওর ওপর আমাদের আস্থা ছিল সে গোল করবে এবং করেছেও।
/আরআইএম
Leave a reply