সরকার সরাসরি নিত্যপণ্যের বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে যেটি বিভিন্ন সময় ইশারা ইঙ্গিতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন। এমন মন্তব্য করেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বলেন, ডামি সরকারের বাজার লুটের কারণে আজ জনগণ সর্বশান্ত। বাজারে দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, অর্থ-বিত্তের পুকুরে সাঁতার কাটছে সরকারের লোকজন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, রমজানকে সামনে রেখে এখন থেকেই সরকারের সিন্ডিকেট চক্র জনগণের পকেট কাটতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব তো পড়েইনি, উল্টো কয়েকটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সম্পূর্ণ একদলীয় ও একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মসনদে বসে আরও বেপরোয়া হয়ে জনগণের ওপর জুলুম চালাচ্ছে ডামি সরকার। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, জান-মাল, মানবাধিকার, জননিরাপত্তা লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে। তাদের একগুঁয়েমী ও বৈরিতার আঘাতে গণতন্ত্র কবরে চলে গেছে। রাষ্ট্রের পেশিশক্তি দিয়ে বিরোধী দল দমনের অভিনব সব পন্থা বিগত দেড় দশক ধরে অব্যাহত রেখেছে সরকার দল।
রিজভী অভিযোগ করেন, বিরোধীদল নিষ্পেষণ, গ্রেফতার, হত্যা আর জনগণের রক্তচুষে খাওয়াই সরকারের ব্রত। জনজীবনকে তারা দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস দশা নেমে এসেছে। এদেশে স্বস্তিকর জীবনযাপন বলে কিছু নেই। মানুষ আর সইতে পারছে না। অসহায় মানুষের বুকফাটা কান্নার শব্দ লুটপাট ও টাকা পাচারে ব্যস্ত সরকার শুনতে পাচ্ছে না।
ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে ছাত্রলীগ। তারা নারীর শ্লীলতাহানিসহ সন্ত্রাস আর নৈরাজ্যের অভয়ারণ্য বানিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় এখন রক্তাক্ত এবং নারীদের জন্য বিপজ্জনক স্থান।
/এনকে
Leave a reply