কেন গুরুত্বপূর্ণ আভদিভকা !

|

ছবি: আল জাজিরা।

ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের শহর আভদিভকার নিয়ন্ত্রণ এখন রুশ বাহিনীর হাতে। এই শহরের নিয়ন্ত্রণ বদলে দিতে পারে পুরো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমীকরণ। এই ঘটনা একদিকে যেমন মনোবল বাড়াবে মস্কোর; অন্যদিকে উদ্বেগ বাড়াবে কিয়েভের। বিশ্লেষকদের মতে, প্রভাবিত করবে পশ্চিমা দাতাদেরও। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানায়।

কিন্তু কীভাবে? কেনো এতো গুরুত্বপূর্ণ এই শহর?

শিল্প এলাকা ডোনবাসের শহর আভদিভকা। রাশিয়া অধিকৃত দোনেৎস্ক থেকে যার দূরত্ব মাত্র ১৫ মাইল। এই অঞ্চলে অবস্থিত কোক প্ল্যান্টের সুখ্যাতি সারা বিশ্বে। পূর্বে ইউরোপের জ্বালানি উৎপাদনের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান থাকলেও পরবর্তীতে বদলে যায় পরিস্থিতি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কয়লার কারখানাটি ব্যবহৃত হচ্ছিলো ইউক্রেনের গোলাবারুদ আর অস্ত্রের ঘাঁটি হিসেবে। গেলো শনিবার, অঞ্চলটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইউক্রেন। এরপর থেকেই আলোচনায় আভদিভকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দোনেৎস্কের প্রবেশদ্বার বলা যায় শহরটিকে। তাই রাশিয়ার কাছে এর কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বেশি। শহরটি মস্কোর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় কিয়েভের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে অধিকৃত দোনেৎস্ক শহর পুনরুদ্ধার করা। তাছাড়া, যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইন থেকেও সরে যেতে বাধ্য হলো ইউক্রেনীয় সেনারা।

চলতি মাসেই পূর্ণ হবে ইউক্রেনে রুশ হামলার ২ বছর। এমন সময়ে, আরেকটি শহরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করায় চাঙ্গা হবে রুশ সেনাদের মনোবল। অন্যদিকে অস্ত্র সরবরাহ আর সৈন্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়বে ইউক্রনের বলে মনে করেন সামরিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সংশয় বাড়বে পশ্চিমাদেরও।

কিয়েভের বিশেষজ্ঞ মিকোলা বিলিয়েসকভ বলেছেন, আভদিভকা রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া শুধু ইউক্রেনের জন্যই নয়; পশ্চিমা দাতাদের জন্যও হতাশার। রাশিয়া স্পষ্টভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে, বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তাও কোন কাজে আসছে না। ফলে, ভবিষ্যতে কিয়েভকে সহায়তা করা নিয়ে দেখা দিতে পারে অনিশ্চয়তা।

গেলো বছরের মে’তে ইউক্রেনের বাখমুত শহরের দখল নেয় ক্রেমলিনের সেনারা। এর প্রায় ৯ মাস পর পতন হলো আভদিভকার। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বর্তমানে এক হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে মস্কো-কিয়েভ যুদ্ধ; যার মধ্যে ৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার এলাকাতেই এগিয়ে পুতিন সেনারা।

\এআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply