খুলনাকে উড়িয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম

|

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) গুরুত্বপূর্ণ নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খুলনাকে ৬৫ রানে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের বিশাল পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১ বল বাকি থাকতেই মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। বর্তমান সময়ে বিধ্বংসী ওপেনার হিসেবে খ্যাতি পেলেও চট্টগ্রামের হয়ে অভিষেকে জ্বলে উঠতে পারেননি মোহাম্মদ ওয়াসিম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ওপেনার ফেরেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। নাসুম আহমেদের টসড আপ ডেলিভারিতে স্লপ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ১ রানে।

তিনে নেমে তানজিদ তামিমের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন সৈকত আলী। তাদের দু’জনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তোলে চট্টগ্রাম। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পর অবশ্য উইকেট হারায় তারা। জেসন হোল্ডারের লেংথ ডেলিভারিতে জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৮ রান করা সৈকত। এরপর তানজিদ তামিমকে সঙ্গ দেন টম ব্রুস।

একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। এরপর দ্রুত রান তুলতে থাকেন তরুণ এই ওপেনার। পেয়ে যান এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরির দেখাও। হোল্ডারের বলে কভার পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে এক রান নেন তিনি। তাতেই ৫৮ বলে ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেন তানজিদ তামিম। যা এবারের আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর আগের দুটি করেছেন তাওহীদ হৃদয় এবং উইল জ্যাকস।

সেঞ্চুরির পর আরও দ্রুত রান তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন তানজিদ তামিম। তবে তাকে থামান ওয়েন পারনেল। বাঁহাতি এই পেসারের দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড হন ১১৬ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে ৩৬ রান করেন ব্রুস। খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নেন পারনেল, নাসুম, হোল্ডার এবং মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।

১৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা করতে পারেনি খুলনার দুই ওপেনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা। বিলাল খানের স্লোয়ার ডেলিভারিতে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬ রান করা পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর অবশ্য খুলনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলটির অধিনায়ক আনামুল হক বিজয় এবং উইন্ডিজ রিক্রুট শাই হোপ।

তাদের দু’জনের জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। ডানহাতি এই পেসারের লেগ স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারিতে ফ্লিক করেন বিজয়। শর্ট ফাইন লেগ থেকে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে একেবারে সীমানার কাছে ক্যাচ নেন রোমারিও শেফার্ড। ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটারের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ২৪ বলে ৩৫ রান করা বিজয়। চারে নেমে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন এভিন লুইস।

এরপর দ্রুতই ফেরেন শাই হোপও। আগের বলে ছক্কা মারলেও পরের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে শুভাগত হোমকে ক্যাচ দেন। খুলনার এই উইকেটকিপার ব্যাটার ফেরেন ৩১ রানের ইনিংস খেলে। মাহমুদুল হাসান জয় ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। বাকিরা সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষদিকে জেসন হোল্ডারের ১৮ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। চট্টগ্রামের হয়ে শুভাগত হোম ৩টি উইকেট নেন।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply