বিএনপি, ঐক্য প্রক্রিয়া, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেন ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তবে বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ার শুরু থেকে বিকল্পধারা বাংলাদেশ আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলটিকে ছাড়াই ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা দেয়া হয়।
এসময় ড. কামাল হোসেন বলেন, জাতীয় ঐক্যের ডাক কোনো দলীয় স্বার্থে নয়, এটা জাতীয় স্বার্থে। কোটি কোটি জনগণের পক্ষ থেকে এই ডাক। এটা কোটি মানুষের উদ্যোগ। জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ভীত নই আমরা। এই জোটে যুক্তফ্রন্টের দুই শরিক দলও আছে। আমি অন্যদেরকেও আশা করি এই ঐক্যে। এরপর ফ্রন্টের নামকরণ, দাবি ও লক্ষ্যসমূহ সর্ম্পকে লিখিত বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ, জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যরিস্টার মঈনুল হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যের শুরুতে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। সেই প্রচেষ্টার ফসল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই ফ্রন্টের ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সর্বাত্বক লড়াই শুরু হলো।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতান্ত্রিক অান্দোলনের নব সূচনার দিন। গণমানুষের অান্দোলনের সূচনা হয়েছে। বর্তমান স্বৈরশাসক সব অধিকার হরণ করেছে।
মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গায়েবী মামলা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এই ঐক্যফ্রন্ট ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন অাঙ্গিকে লড়াই শুরু হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাই। সেজন্য আন্দোলন করতে হবে। আমরা অধিকার অাদায় করেই ঘরে ফিরবো। এসময় যারা ঐক্যের বাইরে রয়েছে তাদের একসাথে হওয়ার অাহবান জানান মির্জা ফখরুল।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, পরিবর্তনের বাংলাদেশের জন্য এই ঐক্য। দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। অন্যায়, অত্যাচার, রাহাজানিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। সামনে একাদশ সংসদ নির্বাচন। তাই আশার আলো হিসেবে ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, দাবি পূরণ করতে হবে। না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবেনা। দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তাকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে যাবো। স্বৈরাচারের বিদায় হবে অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে। সব পেশাজীবী মানুষকে এই ঐক্যের ছায়ায় আসার আহবান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য এই ফ্রন্ট টার্নিং পয়েন্ট। আশা করি, আন্দোলন সফল হবে। সরকারকে বাধ্য করা হবে দাবি মেনে নিতে।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়। খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে লড়ছেন, তার মুক্তি চায় জনগণ। তিনি প্রশাসনকে সরকারের অন্যায় কাজে প্রশ্রয় না দেয়ার আহ্বান জানান। রব আরো বলেন, অসুস্থতার কারণে বি. চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে অনুপস্থিত নেই।
Leave a reply