অর্থ আত্মসাতের মামলায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী ও তার স্বামী রিমান্ডে

|

পাবনা করেসপনডেন্ট:

প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের মামলায় পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি আফসানা মিম ওরফে মিম খাতুন ও তার স্বামী ওবাইদুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পাবনা শহরের মাসুম বাজার এলাকার বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে রাজধানীর গুলশান থানা পুলিশ।

পরে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই দম্পতিকে ঢাকার একটি আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাইলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে, এ ঘটনার পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বৃহস্পতিবার মিমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মিম খাতুন পাবনা শহরের মাসুম বাজার এলাকার মিন্টু মোল্লার মেয়ে। তিনি পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি। তার স্বামী ওবাইদুল্লা একই এলাকার কেসমত উল্লাহর ছেলে।

এর আগে, সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু। বাবু পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা হাটপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি বর্তমানে রাজধানীর শাহাজানপুরে বসবাস করেন। গুলশানে তার ব্যবসা রয়েছে।

এজাহারে মামলার বাদী উল্লেখ করেন, একই জেলায় বাড়ি হওয়ায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিমের সাথে তার দেখা ও পরিচয় হয়। পরে মিম তার স্বামীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর পাবনা শহরের একটি মার্কেটে ব্যবসার কথা বলেন এবং তাকে অংশীদার করার কথা বলে বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৯০ টাকা নেন মিম ও ওবাইদুল্লাহ। একপর্যায়ে ব্যবসায়িক দলিল করতে চাইলে নানা টালবাহানা শুরু করেন এই দম্পতি। সবশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা ফেরত দেবে না জানিয়ে মনিরুজ্জামান বাবুকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান বলেন, ওবায়দুল্লাহ মিমের চতুর্থ স্বামী। তারা দু’জন পরিকল্পিতভাবে আমাকে প্রতারণার জালে ফেলেছে। উপায় না পেয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করলে পুলিশ পাবনা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) রোমেল জানান, বৃহস্পতিবার মিম ও ওবাইদুল্লাহকে ঢাকার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট আরেফা খানম শেফালী বলেন, আফসানা মিম পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি। তার প্রতারণা ও গ্রেফতারের বিষয়টি জেনেছি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply