অস্ত্র সংকটে ভুগলেও হাল ছাড়তে নারাজ ইউক্রেন

|

নেই পর্যাপ্ত অস্ত্র, রাশিয়ার অভিযানে রণক্ষেত্রেও কোণঠাসা। তবুও, হার মানতে নারাজ ইউক্রেনের বহু সেনা। লড়াই করতে চান শেষ পর্যন্ত। বিপুল হতাহতের কারণে ফ্রন্টলাইনে সৈন্য সংকটে ভুগছে কিয়েভ। এতো সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও বিজয় নিয়েই ঘরে ফিরতে চান যুদ্ধরত ইউক্রেনীয়রা। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার কয়েকদিন আগেই, রুশ সেনাদের কাছে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর আভদিভকার নিয়ন্ত্রণ হারায় ইউক্রেন। ফ্রন্টলাইনের অন্যান্য অংশেও মস্কোর জোরালো হামলায় রীতিমতো কোণঠাসা কিয়েভ সেনারা।

দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের প্রথম বছরে, পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে ব্যাপক সামরিক সহায়তা পেলেও সেই চিত্র বদলে গেছে। পর্যাপ্ত অস্ত্রশস্ত্রের অভাবে রুশ সেনাদের মোকাবেলা করতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিপুল হতাহতের কারণে, ফ্রন্টলাইনে কমেছে সেনা সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে, ইউক্রেনের হেরে যাওয়ার শঙ্কাও প্রবল হয়েছে।

ইউক্রেনের কমান্ডার রেইস বলেছেন, সহজ ভাষায় বললে, ইউক্রেনীয় সেনাদের দায়িত্বে থাকা গোডাউন একসময় গোলাবারুদে ভর্তি ছিলো। এখন সরবরাহ অনেক কমে গেছে। আগের তুলনায় মাত্র ২০ শতাংশ গোলাবারুদ আছে গুদামে। জানিনা, পশ্চিমারা সরবরাহ বন্ধ করলে পরিস্থিতি কি হবে।

ফ্রন্টলাইনের পরিস্থিতি যেমনই হোক হাল ছাড়তে নারাজ ইউক্রেনের যোদ্ধারা। নিজেদের চেয়ে কয়েকগুণ শক্তিশালী রুশ বহরকে হারাতে বদ্ধপরিকর তারা।

কমান্ডার রেইস আরও বলেন, আরও সহায়তা পেলে হয়তো অনেক ফ্রন্টলাইনেই ফলাফল অন্যরকম হতো। শত্রুদের ইউক্রেনীয় সেনাদের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি সেনা রয়েছে। তবে, তারা সংখ্যায় অসীম নয়। প্রতিদিনই আমাদের হামলায় রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের ইউনিটের সেনাদের বিশ্বাস, শীঘ্রই আমাদের ভূখণ্ডকে শত্রুমুক্ত করবো।

\এআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply