ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ মহিদ উদ্দিন।
ড. খ মহিদ উদ্দিন বলেন, শিক্ষক মুরাদ হোসেন কোচিং সেন্টারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক যৌন হয়রানি করতেন। গ্রেফতারের সময় জব্দ হওয়া মোবাইল ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা করে এর প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া, বেশ কিছু অডিও রেকর্ডসহ একাধিক ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর কথোপকথনের প্রমাণও পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, কোচিংয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন তিনি। প্রায় এক দশক ধরে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোচিংয়ে নিয়ে যৌন নির্যাতন করেন মুরাদ হোসেন।
এই অভিযোগের পর গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মুরাদ হোসেনকে আজিমপুর শাখা থেকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে সোমবার সন্ধ্যায় এক শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করেন। এদিন রাতেই কলেজের পরিচালনা কমিটির সভায় মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সোমবার দিবাগত রাতে কলাবাগানের বাসা থেকে মুরাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় একটি মোবাইল ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে তার সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মুরাদ হোসেনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
/এমএন
Leave a reply