১৫ বছর পর ধর্ষণ মামলার রায়, ৬ জনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, নাটোর:

নাটোরের বড়াইগ্রামে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় ৬ জনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।

অভিযুক্তরা হলেন, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়ারী গ্রামের সুজাব আলী, সুমন আলী, রফিক, ডাবলু, আতাহার আলী আতা ও রাজশাহী জেলার পুঠিয়ার ইমদাদুল হক। অভিযুক্তরা সবাই পলাতক।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আনিছুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালের ৫ মে অভিযুক্ত সুজাব ও তার সহযোগীরা ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা পরদিন (৬ মে, ২০০৯) বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। বিভিন্ন সময় অভিযুক্তরা সেই মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকে ভুক্তভোগীর বাবাকে। মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানায় মেয়েটির বাবা। পরে অভিযুক্তরা সেই ছাত্রীকে অপহরণ করলে পুনরায় বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করতে যান সেই ছাত্রীর বাবা। পুলিশ সেই মুহূর্তে মামলা না নিয়ে ১৫ জুন আদালতে মামলা করে।

উল্লেখ্য, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুলিশ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। সেই চার্জশিটের আলোকে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply